বদ্বীপ পরিকল্পনা ও আমাদের বাস্তবতা

দেশ রূপান্তর আবু আফজাল সালেহ প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৩৩

নদীমাতৃক বাংলাদেশ পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ। তিনটি প্রধান নদী পদ্মা, ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা নদীবাহিত পলি মাটি দ্বারা গঠিত দ্রুত বর্ধনশীল এ বদ্বীপ অঞ্চলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে নদীর গুরুত্ব অপরিসীম। নদী ও তার প্লাবন ভূমি এ দেশের ৮০ শতাংশ এলাকার মানুষের জীবন-জীবিকা ও অর্থনীতির নিয়ামক শক্তি। দেশটির নদী জীবন, জীবিকা, অর্থনীতিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। একদিকে বর্ষাকালে প্রচুর পানি ও পলি নদীগুলো দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ধাবিত হয় এবং অসংখ্য চরের সৃষ্টি করে, অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া যায়। বদ্বীপ অধিবাসীদের বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন, পানিদূষণের মতো হুমকি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশটির ১৪% শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত হবে বলে আগাম ধারণা দিয়েছেন পরিবেশ সংশ্লিষ্টরা। তার নেতিবাচক প্রভাবে ৩০ মিলিয়ন লোক জলবায়ু শরণার্থীতে পরিণত হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অতিবৃষ্টি, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। গঙ্গা অববাহিকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ছে। কখনো অসময়ে প্রবল বৃষ্টি, বর্ষাকালে অনাবৃষ্টি। লবণাক্ততার কারণে সুপেয় পানির অভাব, শস্য কমে যাওয়া, নদীভাঙন, ফলহানি ইত্যাদি হচ্ছে। প্রায় প্রতি বছর বিপুলসংখ্যক লোক গৃহহীন হয়ে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশের জন্য পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। শুধু নদী খনন আর বন্দর উন্নয়ন করলে পরিকল্পনার মূল কাজে অনেক পিছিয়ে পড়তে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও