কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

ঢিলেঢালা মুভমেন্ট পাস, মানুষ ছুটছে কেনাকাটায়

বাংলা ট্রিবিউন ঢাকা মেট্রোপলিটন প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল ২০২১, ০৯:২৭

শপিং মল ও দোকানপাট খুলে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একপ্রকার হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। কেউ নিজস্ব গাড়ি হাঁকিয়ে যাচ্ছেন মলগুলোতে। কেউ যাচ্ছেন অটোরিকশা বা রিকশায়। এদিকে মুভমেন্ট পাস নিয়ে চলাফেরার কথা থাকলেও তা এ নিয়ে এখন আর বালাই নাই। গণহারে সবাই বেরিয়ে পড়ায় বিভিন্ন চেকপোস্টেও দেখা গেছে ঢিলেঢালা ভাব।


রাজধানীর মিরপুরে বেশ কয়েকটি শপিং মল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ আসন্ন, তাই কেনাকাটায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে নানা বয়সী নারী-পুরুষ। সাজসজ্জা ও কসমেটিকসের দোকানগুলোতে গতানুগতিক উপচেপড়া ভিড়। এ ছাড়া, এক শপিং মল থেকে অন্য শপিং মলেও অবাধে আসা-যাওয়া করছেন ক্রেতারা।


কেনাকাটা করতে আসা ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তায় কোনও জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়নি। শুরুর দিকে তল্লাশি থাকলেও এখন অনেকটাই ঢিলেঢালা। মুভমেন্ট পাস আছে কিনা জানতে চাইলে অনেকেই বললেন, এখন তো শপিং মল খুলে দিয়েছে সরকার। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মার্কেটে এসেছি। মুভমেন্ট পাসের প্রয়োজন নেই।


শপিংয়ে যেতে ‘অন্যান্য’ ক্যাটাগরিতে মুভমেন্ট পাস


সরকার ঘোষিত কঠোর ‘লকডাউনের’ মধ্যে রোববার (২৫ এপ্রিল) খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট ও শপিংমল। পুলিশ বলছে, কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে শপিংয়ে যেতে লাগবে মুভমেন্ট পাস।পুলিশ জানায়, বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময় জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’।


এগুলোর মধ্যে- মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেওয়া হচ্ছে। তবে শপিংমলে কেনাকাটার জন্য কোনো ক্যাটাগরি রাখা হয়নি।তবে এসব ক্যাটাগরির বাইরে যাদের চলাফেরা প্রয়োজন তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে মুভমেন্ট পাস দেওয়া হচ্ছে।


দুশ্চিন্তার নাম মুভমেন্ট পাস


ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা, ঘর থেকে বেরিয়ে দোকান বা শপিং মলে (বিপণিবিতান) পা রাখতে চাইলে পকেটে থাকা চাই পুলিশের ‘মুভমেন্ট পাস’। এবারের লকডাউনে পুলিশের ‘নতুন আবিষ্কার’ এই মুভমেন্ট পাস যাচাই করার জন্য বিপণিবিতানের সামনে পুলিশি পাহারা বসানোরও নাকি রয়েছে পরিকল্পনা!


অ্যাপসের মাধ্যমে মুভমেন্ট পাস দেওয়া হচ্ছে মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য। আর বিক্রেতাকে দোকানে থাকতে হবে কমপক্ষে সাত ঘণ্টা। শেষ চার ঘণ্টার ফায়সালা কী হবে এখনো অজানা। অন্যদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিপণিবিতানে ঢুঁ মারতে গেলেও যানবাহন স্বল্পতায় ক্রেতাকে হতে হবে গলদঘর্ম।


দোকানপাট খুললেও লাগবে ‘মুভমেন্ট পাস’


চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউনে’ ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট খোলার নির্দেশনা এলেও চলাচলের জন্য জনসাধারণের ‘মুভমেন্ট পাস’ নেওয়ার আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা শনিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “চলাচল নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতার জন্য যেহেতু মুভমেন্ট পাস চালু করা হয়েছে, তা এখনও প্রয়োজন হবে।


১০ দিনে ২০ কোটির বেশি হিটে সাড়ে ১৩ লাখ মুভমেন্ট পাস


লকডাউনে চলাচলের জন্য পুলিশের অনুমতিপত্র ‘মুভমেন্ট পাসের’ ওয়েবসাইটে প্রায় সাড়ে ২০ কোটি বার হিট হয়েছে। গত ১০ দিনে এই হিট হয়।  আজ শনিবার সকালে পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১০ দিনে মুভমেন্ট পাস ওয়েবসাইটে হিট হয়েছে ২০ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ২৩৬টি। আর পাস পেয়েছেন ১৩ লাখ ৫৫ হাজার ৫৫৯ জন।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও