
আন্তর্জাতিক উম্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে কম সময়ে সাড়ে পাঁচ লাখ টন চাল কেনার উদ্যোগ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত বলেই আমরা মনে করি। উম্মুক্ত দরপত্র দাখিলের সময়সীমা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের তারিখ থেকে ৪২ দিনের পরিবর্তে ১০ দিন করার প্রস্তাবও সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পেঁয়াজ, তেল ও চালের মতো কিছু নিত্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই বাড়ে-কমে। সেখানে এত বেশি ধরে দরপত্রের জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব নয়। বেশি সময় দিলে প্রতিযোগিতামূলক দাম পাওয়া যাবে না। ফলে বেশি দামে কিনতে হবে। তাছাড়া পরিবেশ পরিস্থিতিও বিবেচনায় নিতে হয়।এ বছর খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হয়েছে। গতবার বন্যা, অতিবৃষ্টি ও মহামারি কভিডের প্রভাবে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন বিপর্যস্ত হয়।
ফসল উৎপাদন ও মজুদ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারি না হলে হয়তো দেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ থাকত।চাল কেনার বিষয়ে কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। চাল যেন মানসম্পন্ন হয় এবং দামও যেন যৌক্তিক হয়। দরপত্র উম্মুক্ত হলেও এতে একটি সাধারণ শর্ত থাকে, ‘কর্তৃপক্ষ সর্বনিম্ন দরপত্র গ্রহণে বাধ্য নহে’।
- ট্যাগ:
- মতামত
- খাদ্য
- খাদ্য সংকট
- খাদ্যপণ্যের দাম