
বিজয়ের ৫০ বছর পরের বাংলাদেশ
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে বিনা উসকানিতে প্রথমে বিভিন্ন ব্যারাকে সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ বাহিনীর ঘুমন্ত বাঙালি সৈনিক তারপর সারা দেশের নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও গণহত্যার মাধ্যমে যে যুদ্ধের সূচনা, তা মোকাবিলায় আক্রান্ত বাঙালি তাৎক্ষণিক প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু করে এবং মধ্য এপ্রিল ১৯৭১ সালের মধ্যে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি আদল ও কাঠামো গঠিত হয় এবং প্রতিরোধযুদ্ধ রূপান্তরিত হয় সর্বাত্মক জনযুদ্ধে। সৈন্যবল, অস্ত্রবল, প্রশিক্ষণ সব অর্থেই এটি ছিল একটি অসম যুদ্ধ। কিন্তু ন্যায়নীতি ও নৈতিকতার বিচারে এ যুদ্ধ ছিল ঘোরতর অন্যায়-অবিচার ও চূড়ান্ত বর্বরতার বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তির এক ন্যায়যুদ্ধ।