.tdi_2_591.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_2_591.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ সত্ত্বেও জন্মগত পেশাদার পাটনীজীবী (সাম্পান মাঝি) সমিতিকে ঘাট ইজারা না দেয়ার প্রতিবাদে গতকাল কর্ণফুলী নদীতে দিনব্যাপী অনশন করেছে মাঝিদের বিভিন্ন সংগঠন। এসময় নেতৃবৃন্দ এক সপ্তাহের মধ্যে ঘাট ফিরিয়ে দেয়া না হলে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও ও আমরণ অনশন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। গতকাল সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর সদরঘাটে নিজেদের সাম্পান নিয়ে নদীতে অনশন করেন ৮টি মাঝি সংগঠনের তিন শতাধিক সাম্পান মাঝি। এ সময় সবগুলো ঘাট বন্ধ রাখা হয়। অনশন সমাবেশে বক্তারা বলেন, আড়াই হাজার বছর আগের সাম্পান ও সাম্পান মাঝি চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশ অমান্য করে বাংলাবাজার ঘাট এবং ১১ ও ১৪ নম্বর ঘাট ইজারা দেয়া হয়েছে। মাঝিদের ঘাটছাড়া করাটা কিছুতেই মেনে নিবে না চট্টগ্রামের সাধারণ মানুষ। অনশনকারী সাম্পান মাঝিরা এক সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এরমধ্যে মাঝিদের ঘাট ইজারা না দিলে সিটি কর্পোরেশন ঘেরাও ও আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন। অনশন কর্মসূচিতে মাঝিদের সাথে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা নাজিমুদ্দিন শ্যামল, হাসান ফেরদৌস, কর্ণফুলী গবেষক প্রফেসর ড. ইদ্রিচ আলী, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সভাপতি মোহাম্মদ লোকমান দয়াল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউছুপ, অর্থ সম্পাদক জসীম উদ্দিন, সদরঘাট সাম্পান সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সহ সভাপতি নাজির আলী, সাধারণ সম্পাদক নূর আহমদ, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, অর্থ সম্পাদক ফরিদ আহমদ, কর্ণফুলী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার সাম্পান সমিতির সহ সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ১১ নম্বর মাতব্বর ঘাট সাম্পান সমিতির সভাপতি আবদুর শুক্কুর, ১৪ নম্বর গুচ্ছ গ্রাম সাম্পান সমিতির মোহাম্মদ করিম ও মনির আহমদ প্রমুখ। জানা যায়, গত পহেলা বৈশাখ পেশাগত সাম্পান মাঝি থেকে ঘাট কেড়ে নিয়ে পাটনীজীবী নীতিমালা লক্সঘন করে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের ইজারা দেয়া হয়েছে। ঘাটহারা মাঝিরা অনিয়মের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিম স্বাক্ষরিত পত্রে পেশাদার জন্মগত পাটনীজীবি সমিতিকে ঘাট ইজারা দেয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। কিন্তু তা না করে আইনি মতামতের জন্য নির্দেশনাটি চসিক আইন কর্মকর্তার নিকট প্রেরণ করা হয়। এরপর বিগত ছয় মাসেও মাঝিদের ঘাট ফিরিয়ে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গতকাল সকাল সন্ধ্যা অনশন কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচি চলাকালে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান বলেন, করোনার কারণে সাম্পান মাঝিরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় নিজেদের ঘাট হারিয়ে মাঝিরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকে বাপ দাদা তিনপুরুষের এই পেশা ছেড়ে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, মাঝি থেকে ঘাট কেড়ে নেয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতির পরিপন্থী কাজ করছে সিটি কর্পোরেশন। যা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। আন্দোলনের আহ্বায়ক কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী বলেন, ২০০৩ সালের পাটনীজীবি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে মাঝিদের ঘাটছাড়া করেছে চসিক। আমাদের পিট দেয়ালে ঠেকে যাওয়ায় দিনব্যাপী অনশনের মতো কর্মসূচি পালন করতে হচ্ছে। প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।.tdi_3_e5e.td-a-rec-img{text-align:left}.tdi_3_e5e.td-a-rec-img img{margin:0 auto 0 0} (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.