শিপ্রা- সিফাতের ইলেক্ট্রনিকস ডিভাইসসহ ২৯ মালামাল র্যাবকে বুঝিয়ে দিলো পুলিশ
আদালতের নির্দেশে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের সহকর্মী শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ জব্দকৃত ২৯ প্রকার মালামাল র্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ। র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকারের নেতৃত্বে র্যাবের একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১২ টায় রামু থানা থেকে এসব মালামাল গ্রহণ করেন। এসময় রামু থানার ওসি আবুল খায়ের উপস্থিত ছিলেন।৩১ জুলাই মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের পরদিন রামু উপজেলার নীলিমা রিসোর্ট থেকে এসব উপকরণ জব্দ করেছিল রামু থানা পুলিশ। এর আগে, ১৯ আগস্ট (বুধবার) র্যাবের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সংক্রান্ত আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহ।এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশের পক্ষ থেকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে আবেদন করা হয়েছিল জব্দ করা ইলেকট্রনিকস ডিভাইসগুলো তাদের হেফাজতে রাখতে। কিন্তু বিচারক হেলাল উদ্দিন পুলিশের আবেদন খারিজ করে বিচারক তামান্না ফারাহ’র আদেশটি বহাল রাখেন। সেই আদেশ অনুযায়ী ডিভাইসগুলো রাতেই গ্রহণ করতে যায় তদন্তকারী সংস্থা র্যাবের কর্মকর্তা।র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিমান চন্দ্র কর্মকার জানিয়েছেন, ল্যাপটপ, মোবাইল, হার্ডডিস্ক, ২ লাখ টাকাসহ ২৯ প্রকার মালামাল আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে র্যাবের কাছে হস্তান্তর হয়েছে। এসব ডিভাইস ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা পরে তদন্ত সাপেক্ষে জানানো হবে। এ নিয়ে কোন তথ্য গোপন রাখা হবে না।গত ৩১ আগস্ট মেজর (অবঃ) সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যা করার পর রামুর খুনিয়াপালং হিমছড়ি এলাকায় মেরিন ড্রাইভ রোডের নীলিমা রিসোর্ট থেকে স্ট্যামফোর্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শিপ্রা দেবনাথকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে রামু থানা পুলিশ তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে চালান দেয়। শিপ্রা দেবনাথকে গ্রেপ্তারের সময় তার কক্ষ থেকে উদ্ধার করা ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসসমুহ এ মামলার জব্দ তালিকায় আনা হয়নি। পরে রামু থানা পৃথক আরেকটি জব্দ তালিকা তৈরি করে এবং জিডি মূলে শিপ্রার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও অন্যান্য মালামাল হেফাজতে রাখে।