রেড জোন করে লকডাউনের ফল ভালো

প্রথম আলো প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০২০, ২১:২৮

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড গত ১৩ জুন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন করা হয়। এসব ওয়ার্ডে করোনা সংক্রমণের হার ছিল খুব বেশি। তাই এসব এলাকাকে 'রেড জোনের' মধ্যে ফেলে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়। পৌরসভার ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে লকডাউন এখনো চলছে। এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত, এটি চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু এরই মধ্যে দেখা গেছে সংক্রমণের মাত্রা এখানে অনেকটাই কমে গেছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. ছাদেকুর রহমান আকন্দ আজ সোমবার প্রথম আলোকে বললেন, 'প্রথম দিকে যেমন বেশি বেশি ছিল সংক্রমণের হার ছিল এখন তেমন নেই। আগের চেয়ে টেস্টও অনেক বাড়িয়েছি। এখন যেই নমুনা দিতে চান, তারটাই আমরা নিচ্ছি। এসব লোক হয়তো অন্যের সংস্পর্শে গেছেন। কিন্তু পজিটিভ লোক খুব কমই পাচ্ছি।'

উপজেলা স্বাস্থ্য অফিস সূত্র জানায়, এই তিন ওয়ার্ড থেকে ২৫ জুন ১৯ জনের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। পজিটিভ আসে চারজনের। পরদিন ২৬ জুন ১৪ জনের নেওয়া হয়ছিল। একজনেরও পজিটিভ আসেনি। পরদিন ২৩ জনের মধ্যে দুজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।

শুধু গাজীপুরের এই রেড জোন না। এ পর্যন্ত যেসব এলাকাকে রেড জোন করে লকডাউন করা হয়েছিল তার সবখানেই এমন সুফল পাওয়া গেছে।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়। ১৮ মার্চ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৮০১ জন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে চার হাজার ১৪ জন নতুন করে আ্রক্রান্ত হয়েছে। দেশের করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এ সংখ্যা সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৪৫ জন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। সাধারণ ছুটি বা এক ধরনের লকডাউনের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়ছিল। কিন্তু ৩০ মে সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার পর শনাক্তের সংখ্যা এবং সংক্রমণের পরিমাণ ব্যাপক হয়। সবকিছু খলে দেওয়ার এক সপ্তাহ পর থেকে ২০ দিনে রোগী দ্বিগুণ হয়েছে। গত ২০ দিনে ৭০ হাজার নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরই মধ্যে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় পরে সারা দেশকে লাল, হলুদ ও সুবজ জোনে ভাগ করে এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়া শুরু করে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে। কিন্তু তা বিচ্ছিন্নভাবে। তবে সেসব বিচ্ছিন্ন উদ্যোগেও সাফল্য এসেছে।

এখন সংক্রমণের যে অবস্থা তাতে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন একটি অপিরহার্য উদ্যোগে পরিণত হয়েছে বলে মনে করেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, 'এখন ঢাকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। অঞ্চলভিত্তিক লকডাউনের কোনো বিকল্প নেই। এর সুফল মিলছে।'

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও