সরকারি পাটকল থাকছে না
সরকারি পাটকলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এগুলো পরবর্তীতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের (পিপিপি) আওতায় চলবে। রবিবার (২৮ জুন) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
তিনি জানান, সরকারি ২৫টি পাটকলে এই মুহূর্তে ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিক রয়েছেন। তাদের গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অবসর দেওয়া হবে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিও পাওয়া গেছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে বলেও জানান পাটমন্ত্রী। তিনি আন্দোলনরত পাটল শ্রমিকদের ঘরে ফিরে যাওয়ারও অনুরোধ করেন।
গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, সরকারি পাটকল বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাটকলগুলো বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হবে। সরকারের পক্ষে বছরের পর বছর পাটকলের এত লোকসান বহন করা সম্ভব নয়। পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, গত ৪৮ বছরে সরকারকে এই পাট খাতে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেএমসির অধীন ২৬টি পাটকলের মধ্যে বর্তমানে চালু আছে ২৫টি। এর মধ্যে ২২টি পুরোদমে পাটকল ও ৩টি ননজুট ইন্ডাস্ট্রি। একটি পাটকল বন্ধ রয়েছে। পাটকলগুলোয় বর্তমানে স্থায়ী শ্রমিক আছেন ২৪ হাজার ৮৮৬ জন। এছাড়া তালিকাভুক্ত বদলি ও দৈনিকভিত্তিক শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। জানা গেছে, ২০১৫ সালের মজুরি কমিশন অনুযায়ী এই মুহূর্তে একজন স্থায়ী শ্রমিককে বিদায় করতে হলে তাকে একসঙ্গে পাঁচ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত পাওনা পরিশোধ করতে হবে। পাশাপাশি ওই শ্রমিক চাইলে নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী একই প্রতিষ্ঠানে দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজও করতে পারবেন। এই সুযোগও রাখা হয়েছে।