র্যাপিড টেস্টিং অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহারের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর; এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেলে এ কিট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে।
এই কিট নভেল করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না, তা নির্ণয়ের জন্য এই কিট ব্যবহার হবে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা এই কিট ব্যবহারের নীতিমালা করেছি সার্ভেইলেন্সের জন্য। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ্য হলে তার রক্তে ইমিউনিটি তৈরি হল কি না তা অ্যান্টিবডি পরীক্ষায় বোঝা যাবে। অ্যান্টিবডি থাকলে তিনি প্লাজমা দিতে পারবেন। এই পরীক্ষার মাধ্যমে সম্ভাব্য প্লাজমাদাতাদের চিহ্নিত করা সহজ হবে।”
তিনি বলেন, গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালস একটি র্যাপিড টেস্টিং কিট তৈরি করলেও ‘মানোত্তীর্ণ’ হয়নি বলে তাদের অনুমতি দেওয়া যায়নি। আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এই কিট আমদানির অনুমতি চেয়েছে।
“এ অবস্থায় কী কী শর্ত পূরণ করতে পারলে কিট অনুমোদন দেওয়া যাবে, তা ঠিক করা জরুরি হয়ে পড়েছিল। সে কারণেই বিশেষজ্ঞ কমিটি বৈঠক করে একটা নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে।”
কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য পাবলিক হেলথ ইমার্জেন্সির ক্ষেত্রে ওষুধ, ইনভেস্টিগেশনাল ড্রাগ, ভ্যাকসিন এবং মেডিকেল ডিভাইস মূল্যায়নের জন্য ১৪ সদস্যের এই কমিটি করেছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন গত ৪ জুন গঠিত এই কমিটির সদস্যসচিব।
বিএসএমএমইউ, আইসিডিডিআর,বি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের প্রতিনিধি ও বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রয়েছেন এই কমিটিতে। ২১ ও ২৩ জুন দুই দফা বৈঠক করে কমিটি এই নীতিমালা চূড়ান্ত করে।
সেখানে বলা হয়েছে, সেরো সার্ভেইল্যান্স এবং কনভালসেন্ট প্লাজমা থেরাপি ও গবেষণার কাজে র্যাপিড টেস্টিং অ্যান্টিবডি কিট ব্যবহার করা যাবে। ‘অপব্যবহার’ রোধে শুধু ল্যাবরেটরিতে এই কিট ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া যাবে।
কিটের মোড়কে লেখা থাকতে হবে- ‘দিস ইজ নট এ ডায়াগনস্টিক কিট, দিস কিট উইল বি ইউজড অনলি ফর ডিটেক্টিং অ্যান্টিবডি, নট ইন অ্যাকিউট স্টেজ’।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এসব কিট ‘পয়েন্ট অব কেয়ারে’ ব্যবহার করা যাবে না। র্যাপিড অ্যান্টিবডি কিটের কম্বাইন্ড আইজিএম (ইমিউনোগ্লোবিন এম, যা ইনফেকশনের শুরুতে তৈরি হয়) এবং আইজিজি (ইমিউনোগ্লোবিন জি, ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ে তৈরি হয়) এর ন্যূনতম সেনসিটিভিটি ৯০ শতাংশ ও স্পেসিফিসিটি ৯৫ শতাংশ হতে হবে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে সালাউদ্দিন বলেন, এখানে সেনসিটিভিটি বলতে বোঝানো হয়েছে কোভিড-১৯ এর লক্ষণ-উপসর্গ কমে যাওয়ার ১৪ দিন পর রক্তে পাওয়া অ্যান্টিবডির শতকরা হার।
এই নীতিমালাকে স্বাগত জানিয়ে প্লাজমা থেরাপির জন্য গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রধান ঢাকা মেডিকেল কলেজের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এম এ খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেরিতে হলেও এটা ভালো উদ্যোগ।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.