রোহিঙ্গা নির্যাতন: জাতিসংঘে পাস হওয়া রেজুলেশনে প্রশংসিত বাংলাদেশ

বাংলা ট্রিবিউন প্রকাশিত: ২২ জুন ২০২০, ২০:৪৩

রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের জন্য মিয়ানমারের যেসব নাগরিক দায়ী তাদের বিরুদ্ধে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি বিচারের আওতায় আনতে তদন্ত জোরদার করার প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে একটি রেজুলেশন পাস হয়েছে। সোমবার (২২ জুন) জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৩তম অধিবেশনে ‘মিয়ানমারের মানবাধিকার পরিস্থিতি’ শীর্ষক ওই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে।

মানবাধিকার পরিষদে রেজুলেশনের পক্ষে ভোট পড়েছে ৩৭টি। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে দুটি দেশ। ৮টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে।

ওই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে চলমান প্রক্রিয়া ও গাম্বিয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বিচারালয়ে চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানানো হয় এবং এরূপ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথাও পুনর্ব্যক্ত করা হয়। জাতিসংঘের স্বাধীন তদন্ত প্রক্রিয়া (আইআইএম), মহাসচিবের বিশেষ দূত এবং মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার স্পেশাল র‌্যাপোর্টোরসহ সংশ্লিষ্টদের রাখাইন ও মিয়ানমারের অন্যান্য অঞ্চলে নির্বিঘ্নে প্রবেশের অনুমতিসহ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয় এই প্রস্তাবে।

স্পেশাল র‌্যাপোর্টোর-এর কার্যকাল এক বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্তও এ প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে অনুমোদিত হয় এবং দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য স্পেশাল র‌্যাপোর্টোরকে অনুরোধ করা হয়।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ায় ওই প্রস্তাবে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। একইসঙ্গে রোহিঙ্গাদের ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুসারে, উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে রোহিঙ্গাদের পূর্ণ নিরাপত্তা ও সম্মানের সঙ্গে নিজেদের আবাসস্থলে ফেরত যেতে উৎসাহিত করতেও মিয়ানমারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি শামীম আহসান ওই রেজুলেশনের তার বক্তব্যে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক বিবেচনায় রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছেন। তবে নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে সসম্মানে ও স্বেচ্ছায় নিজ জন্মভূমিতে রোহিঙ্গাদের ফিরে যাওয়ার মাধ্যমেই এই আন্তর্জাতিক সমস্যার স্থায়ী ও গ্রহণযোগ্য সমাধান সম্ভব।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও