বরগুনার তালতলীতে একটি খাল বন্দোবস্ত নিয়ে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষের কারণে এবং অতিবর্ষণের ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার ১৫টি পরিবার। পুকুর, উঠান এমনকি রান্নাঘরে পানি ঢোকার কারণে গত তিন দিন ধরে ওই পরিবারগুলোর রান্না-বান্না বন্ধ রয়েছে। সন্তান সন্ততি নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের। সরেজমিনে উপজেলার দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামে গিয়ে এ দৃশ্য দেখা গেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, উত্তর ঝাড়াখালী মৌজার খাস খতিয়ানের ১০৭০, ২৫০২ ও ৩১০৬ নং দাগের আলীর বন্দর খালের ১ একর জমি ২০০৬ সালে বন্দোবস্ত দেখিয়ে দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামের শাহজাহান খান ভোগদখল করে আসছেন।
চলতি বছরে ওই খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করেন তিনি। অমাবশ্যার জো ও অতিবৃষ্টির কারণে পানি নামতে না পারায় দক্ষিণ ঝাড়াখালী গ্রামের মন্নান খান, আইযূব আলী মাস্টার ও তোতা মিয়াসহ ১৫ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানি নামতে না পারায় তলিয়ে রয়েছে তাদের পুকুর, উঠান এমনকি অনেকের রান্নাঘরও। চলাফেরায় কষ্টসহ সন্তান-সন্ততি নিয়ে অনাহারে অর্ধহারে দিন কাটছে তাদের। ওই ১৫ পরিবারের অভিযোগ, পানিতে রান্নাঘর তলিয়ে যাওয়ার কারণে গত তিন দিন ধরে চুলো বন্ধ রয়েছে অনেকেরই।
শাহজাহান মৃধার নামে বন্দোবস্তটি বাতিল করে তার ভোগদখলকৃত খালের বাঁধটি কেটে দিলে পানিবন্দি থেকে তারা মুক্তি পাবেন। এ বিষয় শাহজাহান খানের পুত্র শাহিন খান জানান, আমাদের মৎস্য ঘেরের কারণে ওই ১৫ পরিবারগুলো পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সেটা আদৌ সঠিক নয়। আমাদের ঘের পর্যন্ত পানি আসলে বাঁধ কেটে পানি নামিয়ে দেবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে জানান, একটি খালের বাঁধের কারণে বেশ কয়েকটি পরিবারের পানিবন্দি হওয়ার বিষয়টি আমি মুঠোফোনে জেনেছি। ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.