বিশ্বায়নে মুক্তি নেই!
বিশ্বায়নের জাহাজে করে স্বজনতোষী পুঁজিবাদ পৃথিবীর কোনায় কোনায় চারটি মৌলিক সংকট রফতানি করেছে। আর্থিক ব্যবস্থার ধস, অতি দারিদ্র্য, পরিবেশ বিপর্যয় এবং কট্টরপন্থা। বলা যায়, অন্যান্য সকল সমস্যা কমবেশি এই চার উৎস থেকেই মহামারীর মত ছড়িয়েছে।
প্রথমেই খাদ্য সংকট নিয়ে দুটি কথা বলা যাক। স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত বিশুদ্ধ দেশজ খাবার থেকে মুখ ফিরিয়ে মানুষ এখন ‘আমদানি করা’ উচ্চ ক্যালরির ফাস্ট ফুডের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন। এছাড়াও ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার দোহাই দিয়ে জৈব-প্রকৌশল ব্যবহার করে ক্ষতিকর রাসায়নিক নির্ভর খাদ্য পণ্যের ছড়াছড়ি এখন বাজারে। দেশী মুরগি আর কই মাছের মত কিছুদিন পর স্থানীয় কোনো কিছু আর সহজলভ্য থাকবে কিনা তা নিয়ে ঘোরতর সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
আধুনিক শহরে রাসায়নিক নির্ভর ‘একমাত্রিক খাদ্য’ গ্রহণের প্রভাব, দুশ্চিন্তা ইত্যাদির কারণে কোনো এক নির্দিষ্ট পরিবেশের উপযোগী মানবস্বাস্থ্য ভেঙ্গে পড়ছে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়বেটিস, শ্বাস কষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদির মত অসুখ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও হ্রাস পাচ্ছে নজিরবিহীন। অন্যদিকে, মুনাফা বাড়ছে শুধু ম্যাকডোনাল্ড, মনস্যান্টো, কেএফসি গং দের। জেনে বিস্মিত হবেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও আমাজন ২৮২ বিলিয়ন ডলার মুনাফা করেছে, অথচ কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন।