কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

যা ভেবেছিলাম তার চেয়েও ভঙ্গুর দশা করপোরেশনের: মেয়র তাপস

প্রথম আলো প্রকাশিত: ০৭ জুন ২০২০, ১৮:৪০

নির্বাচনের আগে ঢাকাবাসীকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পরে সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ চিত্র দেখে তিনি উদ্বিগ্ন। তাপস বলছেন, তিনি যতটুকু ভেবেছিলেন, তার চেয়েও ভঙ্গুর দশা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের। সম্প্রতি প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক মোহাম্মদ মোস্তফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ অবস্থান, নগরবাসীকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি ও নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

প্রথম আলো: দায়িত্ব নিয়েই দুর্নীতির অভিযোগে কয়েকজন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন। ভোটের আগে নগরবাসীকে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে মনে করছেন কি না?

শেখ ফজলে নূর তাপস: যেহেতু সিটি করপোরেশনে এর আগে আমার কাজ করার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। সংবাদমাধ্যমে বা বিভিন্ন মাধ্যমে যতটুকু জেনেছি, এটার ওপর করপোরেশন সম্পর্কে আমার একটা ধারণা ছিল। কিন্তু এখন দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে উপলব্ধি করছি, বাইরে থেকে যতটুকু ধারণা ছিল, তার চেয়ে এখানে আরও অনেক কঠিন অবস্থা। সমস্যা আমরা অনেক কিছু জানি, তবে সেটা কতটা গভীরতর আকার ধারণ করেছে, সেটা কিন্তু বাইরে থেকে হয়তো সেভাবে উপলব্ধি হয়নি। এখানে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর উপলব্ধি করেছি যে সংকট আরও অনেক গুণ বেশি। এখানে যে সমস্যাগুলো আছে, তা দীর্ঘদিনের। এগুলোকে জিইয়ে রাখার কারণে, সমাধান না করার কারণে প্রায় ভঙ্গুর অবস্থা। এককথায় যদি বলতে চাই, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ব্যাপারেও আমাকে শূন্য থেকেই শুরু করতে হচ্ছে। তারপরও আমি আশাবাদী যে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করলে আমরা অচিরেই পরিবর্তন আনতে পারব। তবে করপোরেশনের অনেক কিছুই ঢেলে সাজাতে হবে।

এ জন্য এই মাসে আমরা কর্মপরিকল্পনা নেওয়া আরম্ভ করেছি। কারণ, এখানে ব্যাপক প্রশাসনিক সংস্কার প্রয়োজন। কারণ, দীর্ঘদিন যাঁরা এখানে কর্মরত আছেন, তাঁদের সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। তাঁদের সমস্যার যেমন সমাধান করা হয়নি, তেমনি এখানে কোনো প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি করা হয়নি। সাংগঠনিক কাঠামোগুলো খুব দুর্বল রয়েছে। এ ছাড়া জনবলের অনেক দুর্বলতা রয়েছে। যেই সংখ্যার জনবল প্রয়োজন, সেই সংখ্যার জনবল নেই। যোগ্য জনবল নেই। দক্ষ জনবল নেই। সব মিলিয়ে বলব, সমস্যা আর অনেক বেশি। তারপরও আমি মনে করি, এর থেকে উত্তরণ সম্ভব। এরই মধ্যে মহামারি করোনার মধ্যেও ঝুঁকি নিয়ে আমরা করপোরেশনের প্রথম সভাটি করে ফেলেছি, যাতে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করতে পারি। কারণ, করোনার ব্যাপারেও আমাদের কিছু কার্যক্রম হাতে নিতে হবে। ২ জুন আমরা প্রথম সভা করেছি। সেই হিসাবে ওই দিন থেকে আমাদের যাত্রা শুরু হলো।

প্রথম আলো: ৯০ দিনের মধ্যে সব মৌলিক সুবিধা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ছিল। যদিও করোনার কারণে এখন পরিস্থিতি কিছুটা ব্যতিক্রম। আপনার কি মনে হয় এখনো একই লক্ষ্যে আপনি এগোচ্ছেন, নাকি করোনার কারণে অগ্রাধিকারে থাকা বিষয়গুলো পরিবর্তন হচ্ছে?

শেখ ফজলে নূর তাপস: নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে নির্বাচনের ইশতেহারে যে পাঁচটি রূপরেখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটি মাথায় রেখেই কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। অবশ্য করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সমস্যাগুলো আরও বেশি ঘনীভূত হয়েছে। এর জন্য আমাদের প্রতিকূলতা আরও অনেক বেশি বেড়ে গেল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হয়তোবা কিছু কৌশলে এবং কর্মপরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হচ্ছে। আসলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনেক কাজ। নাগরিকদের সব সেবাই কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওপরে দায়িত্ব বর্তায়। আইনগতভাবে দেখলে আমাদের প্রায় ২৮টি মূল কাজ রয়েছে। মূল কাজের মধ্যে আরও বিস্তারিত অনেক কাজ রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সেভাবে ধরতে গেলে প্রায় ১০০টি কাজ হবে। সব কাজেই ধীরগতি বা সেভাবে আমরা ঢাকাবাসীকে দিতে পারিনি। ইশতেহারের পাঁচটি রূপরেখার আওতায় আমরা অগ্রাধিকার করেছি পাঁচটি খাতকে। প্রথমত স্বাস্থ্যসেবাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। যেখানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে ঢাকাবাসীকে রক্ষা করতে কী কী করণীয়, সে বিষয়ে আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। দ্বিতীয় অগ্রাধিকার দিচ্ছি আমরা মশকনিধনে। কারণ, কয়েক বছর ধরে মশকনিধনের বিষয়টি নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। এরই মধ্যে মশকের সময়টাও চলে এসেছে। আমরা এখন জুন মাসে চলে এসেছি। জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রকোপটা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ। সে জন্য আমরা মশকটা গুরুত্বসহকারে দেখছি। তৃতীয়ত, আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আমি নির্বাচনের সময় বলেছি। উন্নত শহরগুলোতে এভাবে কোথাও বর্জ্য ফেলে রাখতে দেখা যায় না। আমরা সেটার ব্যবস্থাপনা হাতে নিচ্ছি। চতুর্থত, আমাদের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। উন্নত দেশের শহরগুলোর যে অবস্থা, সে রকম একটা পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে নিয়ে যেতে পারি, সেই বিষয়ে ভাবছি। এর মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টা আসবে এবং পঞ্চম হলো যানজট নিরসন। আপনাদের নিশ্চয়ই খেয়াল আছে, আমি আমার ইশতেহারে মহাপরিকল্পনার কথা বলেছিলাম। মহাপরিকল্পনা করব আমরা ৩০ বছর মেয়াদি। সেই মহাপরিকল্পনার কাজটা আমরা প্রাথমিকভাবে আরম্ভ করে দিয়েছি। সেখানে আমরা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিচ্ছি। এই কাজে দেশবরেণ্য পরিকল্পনাবিদ ও স্থপতিরা অন্তর্ভুক্ত হবেন। মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের পাশাপাশি ওয়ার্ডভিত্তিক ছোট ছোট উন্নয়নকাজ চলবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও