যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের নিষ্ঠুরতায় পদদলিত কৃষ্ণাঙ্গ মানবতা

বাংলা ট্রিবিউন মো. জাকির হোসেন প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২০, ১৫:৪৬

যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাষ্ট্রের পুলিশ প্রকাশ্য রাস্তায় জর্জ ফ্লয়েড নামে রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী এক কৃষ্ণাঙ্গের গলা হাঁটু দিয়ে চেপে ধরেছে। মৃত্যু যন্ত্রণায় ফ্লয়েড বারবার বলছে, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ তার মুখ দিয়ে ফেনা বেরিয়ে আসছে। মৃত্যুর আগে পানি চেয়ে অনুরোধ জানাচ্ছে পুলিশকে। পথচারীরাও অনুরোধ করছে ছেড়ে দেওয়ার জন্য। পাশে আরও পুলিশ রয়েছে সে একজন মানুষকে বাঁচানোর কোনও চেষ্টাই করছে না। মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতর ফ্লয়েডের অনুরোধ পুলিশ অফিসারের কানে যায়নি।

মৃত্যুযন্ত্রণা তাকে এতটুকু টলাতে পারেনি। রীতিমতো হাঁটু দিয়ে মাটিতে পিষতে থাকে সে। ওই অবস্থায় কয়েক মিনিট ছটফট করতে করতে ফ্লয়েড নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। তারপরও পুলিশ অফিসার বেশ কিছুক্ষণ হাঁটু চেপে ধরে রেখেছিল। অনেকেই এই ভয়ংকর মৃত্যু দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করছে। সেদিকে তাকিয়েও দেখেছে ওই নৃশংস পুলিশ অফিসার। কিন্তু সে নির্বিকার হয়তো এ ভাবনা থেকে একজন কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার জন্য শ্বেতাঙ্গ পুলিশ অফিসারের কী আর হবে? ফ্লয়েড হত্যা ‘হিমশৈলের চূড়া মাত্র’। ফ্লয়েডের মতো এরিক গার্নারকেও নিউইয়র্কের শ্বেতাঙ্গ পুলিশ দম বন্ধ করে হত্যা করেছিল। খুচরা সিগারেট অবৈধভাবে বিক্রি করা হচ্ছে এই সন্দেহে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ওই ঘটনার ফুটেজে দেখা যায় গার্নার বারবার কান্নাজড়ানো গলায় আকুতি করছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’, আর একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ, ড্যানিয়েল পান্টালিওকে দেখা যায় তার হাত দিয়ে গার্নারের গলা টিপে ধরে আছে এমনভাবে যাতে সে দম নিতে না পারে। ডালাসের ফোর্থ ওয়ার্থে ২৮ বছর বয়সী আতাতিয়ানা জেফারসনকে তার নিজের শোবার ঘরে গুলি করে হত্যা করে পুলিশ অফিসার অ্যারন ডিন। গত ১৩ মার্চ লুইভিলের কেন্টাকিতে ২৬ বছর বয়সী জরুরি চিকিৎসা বিষয়ক প্রকৌশলী ব্রেওনা টেইলারকে তার ফ্ল্যাটে ঢুকে পুলিশ অফিসাররা আটবার গুলি করে হত্যা করে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

এই সম্পর্কিত

আরও