নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সোমবার (২৫ মে) উদযাপিত হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২১তম জন্মবার্ষিকী। করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা মেনে অনলাইন মাধ্যম তথা ভার্চুয়ালি হয়েছে বেশিরভাগ আয়োজন। নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘জাগো অমৃত পিয়াসী’ শীর্ষক প্রায় ৫০ মিনিটের একটি বিশেষ অনুষ্ঠান নির্মাণ করে।
এটি সোমবার সকালে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি চ্যানেল একাত্তর টিভিতে সম্প্রচারিত হয়। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বলা হয়, জাগো অমৃত পিয়াসী অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান অনন্যা রুমা। এরপর পর্যায়ক্রমে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের শুভেচ্ছা বাণী পাঠ করে শোনান আবৃত্তিশিল্পী মাহিদুল ইসলাম মাহি। বিশিষ্ট নজরুল সংগীত শিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিকের নির্দেশনায় ও জেমস্ অব নজরুলের পরিবেশনায় সমবেত কণ্ঠে জনপ্রিয় নজরুল সংগীত ‘জাগো অমৃত-পিয়াসি চিত, আত্মা অনিরুদ্ধ কল্যাণ প্রবুদ্ধ’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের মূল পূর্ব শুরু হয়। নজরুলের বিখ্যাত কবিতা ‘বাংলাদেশ’ আবৃত্তি করে শোনান বাচিক শিল্পী হাসান আরিফ।
এরপর নজরুলের জীবনীভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্রের অংশবিশেষ প্রদর্শিত হয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নৃত্যশিল্পী ওয়ার্দা রিহাবের নির্দেশনায় জনপ্রিয় নজরুল গীতি ‘শঙ্কাশূন্য লক্ষ কণ্ঠে বাজিছে শঙ্খ ঐ’, ‘সঙ্গ শরণ তীর্থযাত্রা- পথে এসো মোরা যাই’, ‘খর স্রোতজলে কাদা-গোলা বলে গ্রীবা নাড়ে তীরে জরদ্গব (যৌবন-জল-তরঙ্গ)’ ও ‘মোরা ঝঞ্ঝার মত উদ্দাম, মোরা ঝর্ণার মত চঞ্চল’র সাথে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। এরপর যথাক্রমে শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিলের কণ্ঠে ‘ওঠরে চাষী জগতবাসী, ধর কষে লাঙল’, শিল্পী সালাউদ্দিন আহমেদের কণ্ঠে ‘হে নামাজী! আমার ঘরে নামাজ পড় আজ’ ও শিল্পী ইয়াকুব আলী খানের কণ্ঠে ‘নয়নে নিদ নাহি, নিশীথ প্রহর জাগি, একাকিনী গান গাহি’ শীর্ষক একক নজরুল গীতি পরিবেশিত হয়।
নজরুলের আরেকটি বিখ্যাত গান ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে। এ বিশেষ অনুষ্ঠান বাস্তবায়নে ছিল কবি নজরুল ইনস্টিটিউট। শহিদুল আলম সাচ্চুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও চ্যানেল নাইনের কারিগরি সহযোগিতায় অনুষ্ঠান নির্মাণে সহায়তা করে বাংলাদেশ টেলিভিশন। বিশেষ এ অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেন আব্দুস সাত্তার হৃদয় ও উপস্থাপনা করেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
এছাড়া, ঈদের দিনে জাতীয় কবিকে স্মরণে ভার্চুয়াল নানা অনুষ্ঠান করেছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন। এর আগে সকাল ১১টায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কবির মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া জাতীয় কবির মাজারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বাঁশরী, জাসাস এবং বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগের পক্ষ থেকেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধ নিবেদন করা হয়। জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীতে বাণী দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণী দেয়া হয় ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকেও।
সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
We use cookies to ensure you get the best experience on our website.