গোপালগঞ্জে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট, নিরাপত্তা প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন

প্রথম আলো গোপালগঞ্জ প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৩

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রায় হামলার প্রস্তুতি চলছিল কয়েক দিন ধরেই। এ জন্য জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আগে থেকেই এসে গোপালগঞ্জ শহরে অলিগলিতে অবস্থান নেন। এনসিপির এই কর্মসূচি ঘিরে কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। গত এক সপ্তাহের গোপালগঞ্জের ঘটনাপ্রবাহ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তৎপরতা বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সংঘাতের ইঙ্গিত ছিল স্পষ্ট। এনসিপির সমাবেশ ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও সহিংসতায় জড়াবেন—স্থানীয়ভাবেও এমন আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এনসিপির স্থানীয় নেতাদের পক্ষ থেকেও এমন আশঙ্কার কথা জেলা পুলিশকে জানানো হয়। এরপরও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারেনি।


গত বুধবারের হামলার পর ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্তত ১৮ জনের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার কথা বলেছে প্রথম আলো। সেখান থেকে এই হামলার বিষয়ে একটি চিত্র পাওয়া গেছে। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতারা কয়েক দিন ধরেই এনসিপির কর্মসূচি ঠেকাতে কাজ করছিলেন। এ জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতা-কর্মীদের গোপালগঞ্জ শহরে জড়ো করেন তাঁরা। পাশাপাশি গাছ কেটে সড়কে ফেলে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরিরও পরিকল্পনা করেন তাঁরা।


গতকাল গোপালগঞ্জের গ্রাম পুলিশের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, আগে থেকেই এনসিপির নেতা-কর্মীদের আটকে রাখা ও মারধরের পরিকল্পনা ছিল। সেভাবে গ্রাম থেকে অনেক মানুষ এসেছিল। তারা ছোট ছোট ভাগে শহরের অলিগলিতে অবস্থান নিয়েছিল।


গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীও এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে, কিছু দুষ্কৃতকারী বাইরে থেকেও এসেছিল। তারা এখনো গোপালগঞ্জে অবস্থান করছে। এমন গোয়েন্দা তথ্য আছে। আমরা তাদের আইডেনটিফাই (শনাক্ত) করার চেষ্টা করছি এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’


স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, দলগতভাবে লোক জড়ো করার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকে উত্তেজিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচার চালান আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। বিশেষভাবে প্রচারণা চালানো হয়ে যে এনসিপির পদযাত্রার নামে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে হামলা হবে। এ ছাড়া এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যুক্ত ব্যক্তিরা গোপালগঞ্জ জেলার নাম পরিবর্তন করতে চান বা এই জেলা বিলুপ্ত করে পার্শ্ববর্তী জেলার সঙ্গে মিলিয়ে দিতে চান—এমন প্রচারও করা হয়। ফলে সেখানকার অনেক সাধারণ মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে এই প্রচারণাও ভূমিকা রাখে।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও