
ঢাবিতে পাঁচটি করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে পাঁচটি করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে স্থাপিত কোভিড-১৯ ল্যাবে সংগৃহীত নমুনা থেকে পাঁচটি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। এই সিকোয়েন্স ডাটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের আন্তর্জাতিক তথ্যভাণ্ডার (Global Initiative on Sharing All Influenza Data (GISAID) কর্তৃক গৃহিত হয়েছে।
শনিবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের সংশ্লিষ্ট গবেষক ও বিশেষজ্ঞগণ করোনা ভাইরাসের বিস্তৃত জেনোম সিকোয়েন্সিং-এর যে প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তার অংশ হিসেবেই এই সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন করা হয়। প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থান সাপেক্ষে ধাপে ধাপে আরও ১০০টি ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হবে বলে বিশেষজ্ঞগণ জানিয়েছেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও সিকোয়েন্সিং-এর আওতায় আনা হবে।
বিশেষত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অথচ লক্ষণগত ভিন্নতা রয়েছে এরকম ব্যক্তিদের এক্সোম (মোট জিনের সমষ্টি) সিকোয়েন্সিং-এর মাধ্যমে তাদের জিনগত বৈশিষ্ট্য নির্ণয় করা হবে। এই প্রকল্পে জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগ, অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগ এবং উচ্চতর বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক ও বিজ্ঞানীগণ যুক্ত আছেন। উক্ত গবেষণা দলের নেতৃত্বে রয়েছেন জীন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটির আহবায়ক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান।
এই গবেষণার ফলাফল বাংলাদেশে চলমান করোনা ভাইরাস মহামারির গতিপ্রকৃতি, উৎস, জিনগত বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন এবং এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।