গ্রামে গ্রামে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে পারে: ডা. মোশতাক
ঢাকা বা অন্যান্য শহর থেকে যারা ঈদে গ্রামে যাচ্ছে, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না করলে ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী সদস্য ডা. মোশতাক হোসেন।
মঙ্গলবার (১৯ মে) বাংলানিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ মন্তব্য করেন। ডা. মোশতাক হোসেন বলেন, সমগ্র দেশে সংক্রমণ বাড়লে পরিস্থিতি অনেক খারাপের দিকে যাবে। বর্তমানে ঢাকা, চট্রগ্রাম এবং শহরগুলোতে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে। কোন স্থানে অনেক রোগী বাড়লে বিপদের সম্ভাবনা বেশি হয়। যে সমস্ত গ্রামে এখনও সংক্রমণের সংখ্যা কম, সেখানেও যদি সংক্রমণ বাড়ে তাহলে ঝুঁকি আরও বেড়ে যাবে। কাজেই যেখানেই ঝুঁকি আছে, আমাদেরকে সেখানেই নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। ঢাকা থেকে যেভাবে মানুষ গ্রামে ফিরছেন তাতে কতটা ঝুঁকি বাড়ে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আক্রান্ত এলাকা থেকে লোকজন গ্রামে গেলে, গ্রামেও সংক্রমণ বাড়বে। সামগ্রিক হিসেবে তখন করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে। যারা গ্রামে গিয়েছেন তাদেরকে পরিবারের সদস্যদের থেকে আলাদা থাকতে হবে। তাদেরকে অবশ্যই হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
গ্রামাঞ্চলে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে আইইডিসিআর এর সাবেক প্রধান এ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, যেখানে হোম কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা নাই, সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না করলে ঈদের আনন্দতো দূরের কথা, এটা বিষাদে পরিণত হতে পারে। যারা ঢাকা থেকে গ্রামে যাচ্ছে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখতে হবে, তাদেরকে যেন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়। ঈদে গ্রামে ফেরা মানুষদের যদি আলদা রুমে থাকার ব্যবস্থা না থাকে, অথবা প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না করতে পারলে পুরো বাড়িটিকেই তখন লকডাউন করতে হবে। অন্যথ্যায় এরা যদি বাজারে বা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করে, ঈদের জামাতে নামাজ পড়তে যায় তখন সংক্রমণ আরও বেড়ে যাবে।