
করোনাকালে পাশে নেই কেউ, তাই রাজপথে পরিবহন শ্রমিকরা
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এ সেক্টরের শ্রমিকরা। এসব শ্রমিকদের কল্যাণ তহবিলের নামে শ্রমিক সংগঠনগুলো কোটি কোটি টাকা চাঁদা আদায় করলেও শ্রমিকদের এই দুর্দিনে সেই টাকা কোনও কাজে আসছে না। এ অবস্থায় নেতাদের কাছে ধরণা দিয়েও কোনও সহায়তা পাচ্ছে না তারা। ফলে তারা রাজপথে নামার পরিকল্পনা করছেন। এরই মধ্যে পরিবহন চালু করে দেওয়ার দাবিতে বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধও করেছেন শ্রমিকরা।শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে তারা এখন বেকার। দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে গাড়ি চালানো এসব শ্রমিককে কেউ মাসিক বেতন দেয় না। চাকরি বাঁচাতে টার্মিনালে অবস্থান করা পরিবহনগুলো পাহারা দেওয়ার কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ফলে টার্মিনাল আর পরিবহনের চেয়ারেই দিন কাটছে তাদের। এ অবস্থায়ও খোঁজ নিচ্ছে না তাদের নিয়ে রাজনীতি করা শ্রমিক সংগঠনগুলোও। খাবারের জন্য নেতাদের কাছে ধরণা দিলেও কেউ সাড়া দিচ্ছেন না।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) হিসাবে দেশে নিবন্ধিত যানবাহন আছে প্রায় ৪৪ লাখ। এরমধ্যে ৮ লাখের বেশি বাণিজ্যিক যানবাহন। এসব যান চালনার সঙ্গে যুক্ত আছেন প্রায় ৭০ লাখ শ্রমিক। এর মধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত রেজিস্টার্ড শ্রমিকের সংখ্যা ৫০ লাখ। এর বাইরে আরও ২০ লাখ শ্রমিক বিভিন্ন ছোটখাটো পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। আবার কেউ কেউ আছেন, যারা পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নন।