সেনাপ্রধানের মিয়ানমার সফর আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের মিয়ানমার সফরকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তার মতে, এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন তৈরি হবে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আলোচনার অরেকটি পথ খুলে দেবে। বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মা’য় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি মনে করি সফরটি আমাদের পক্ষে যাবে। এটি আমাদের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন মাদ্রিদ সফরের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানাতে ওই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে সেনা প্রধানের মিয়ানমার সফর বিষয়ে জানতে চান সংবাদিকরা। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারকে ‘বন্ধুপ্রতীম দেশ’ আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার আমাদের শত্রু দেশ নয়, বন্ধু দেশ। আমরা আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করতে চাই। আমরা বিভিন্ন কর্মপন্থা ও দূতিয়ালি করে যাচ্ছি, যাতে করে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফেরত যায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ অবস্থায় আমাদের সেনাবাহিনীর প্রধান সে দেশে গেলে আমাদের জন্য মঙ্গলই হবে। এর ফলে আরেকটি লাইন অব নেগোসিয়েশন চালু হবে। আমরা এটাকে সাধুবাদ জানাই। মিয়ানমারের মিথ্যাচার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বারবার মিথ্যা বলছে। কারণ, তারা চমক দেখাতে চায়। মিয়ানমারকে নাজি জার্মানির আইকম্যানের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, সেসময় তারা (জার্মানরা) মনে করতো, ১০টি মিথ্যা কথা বললে সেটা সত্য বলে চালিয়ে দেয়া যাবে। মিয়ানমারও একই মনোভাব পোষণ করে। মিয়ানমার বলছে তারা প্রস্তুত, কিন্তু বাংলাদেশ না-কী রোহিঙ্গাদের যেতে দিচ্ছে না।’ চিন্তা করেন, কেমন ডাহা মিথ্যা কথা। ভাসানচর প্রকল্প স্থগিত কি-না? জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি অস্থায়ী ব্যবস্থা। আমরা জোর করে সেখানে কাউকে পাঠাবো না। ডিসেম্বরে স্পেনের মাদ্রিদে হতে যাওয়া ২৫তম জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে (কপ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের প্রস্তুতির বিষয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ২ থেকে ১৩ই ডিসেম্বর মাদ্রিদে কপ এর অধিবেশন চলবে। এর উদ্বোধনীতে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১লা ডিসেম্বর মাদ্রিদের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন এবং ৩রা ডিসেম্বর দেশের উদ্দেশ্যে মাদ্রিদ ত্যাগ করবেন বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে, আসন্ন ২৫তম কপ সম্মেলন বা বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলন চিলিতে হওয়ার কথা থাকলেও দেশটিতে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভের কারণে তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।