‘বিয়ের চাপ দেয়ায় অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকাকে হত্যা করা হয়’
নিহত কিশোরী তামান্না আক্তার প্রিয়া ৪ মাসের গর্ভবতী ছিলো। গর্ভবর্তী হওয়ার পর থেকেই বিয়ের জন্য প্রেমিকা চাচাতো ভাই আলমগীরকে চাপ দিয়ে আসছিল প্রেমিকা তামান্না। অব্যাহত চাপের কারণে ঘটনার ১ সপ্তাহ খানেক আগে এলাকায় আসে সে। তামান্নাকে প্রথমে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য অনুরোধ করে আলমগীর। এতে তামান্না আপত্তি জানায়। এরপরই তামান্নাকে মেরে ফেলার ফন্দি আঁটে সে। কৌশল হিসেবে তামান্নাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয় আলমগীর। ঘটনার দিন বউকে শ্বশুরালয়ে পাঠিয়ে রাত অনুমান সাড়ে ৯ টার সময় তামান্নাকে নিয়ে গোপনে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায় একটি বৃক্ষ বাগানে। বাগানটি তামান্নার বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। নির্জন বাগানে সে তামান্নার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। রাত প্রায় সাড়ে বারোটার সময় আলমগীর তামান্নাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে লাশের পাশেই রাত কাটায়। ভোর রাতে তামান্নার মরদেহ বৃক্ষ বাগানে রেখে আলমগীর আসামপাড়া বাজারে এসে সিএনজিযোগে শ্বশুরবাড়ি মিরপুর চলে যায়। পুলিশের কাছে তামান্নাকে হত্যার বর্ণনা এভাবেই প্রদান করে ঘাতক আলমগীর। চুনারুঘাট উপজেলার দুধপাতিল গ্রামের আঃ হান্নানের কিশোরী কন্যা তামান্না আক্তার প্রিয়ার (১৫)মরদেহ মঙ্গলবার রাতে একটি বৃক্ষ বাগানে আবিষ্কার করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ। রাতে নিহত তামান্নার চাচা আঃ হাসিমসহ তার ৩ ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদেরকে পরদিন ছেড়ে দেয়া হয়। এ ব্যাপারে কিশোরী তামান্নার বাবা হান্নান ভাতিজা আলমগীরকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আলমগীরকে মঙ্গলবার রাতে তার শ্বশুরবাড়ি মিরপুর থেকে আটক করে পুলিশ। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক আলমগীর ১৬১ ধারায় জবান বন্দি দেয়। তামান্না হত্যার লোমহর্ষক বিবরণ দেয় ঘাতক আলমগীর। গতকাল আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে প্রেরণ করে পুলিশ।
- ট্যাগ:
- বাংলাদেশ
- প্রেমিকাকে খুন