(প্রিয়.কম) ‘বর্ষ আসুক বর্ষ যাক, থিয়েটার চিরসাথী থাক’ স্লোগান নিয়ে বাংলা পুরাতন বছরের বিদায় ও নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে নাট্য সংগঠন স্বপ্নদলের প্রযোজনা ‘চিত্রাঙ্গদা’ কাব্যনাট্যের চারটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। চৈত্র সংক্রান্তির দিন (১৩ এপ্রিল, শুক্রবার) সন্ধ্যা ৬টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এবং পহেলা বৈশাখে (১৪ এপ্রিল, শনিবার) সকাল ১১টা ও বেলা সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রদর্শনীগুলো অনুষ্ঠিত হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিরায়ত সৃষ্টি ‘চিত্রাঙ্গদা’ কাব্যনাট্যের গবেষণাগার নাট্যরীতিতে নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন।

নাটকটির বিষয়ে জাহিদ রিপন প্রিয়.কমকে  বলেন, “রবীন্দ্রনাথ মহাভারতের চিত্রাঙ্গদা-উপাখ্যান অবলম্বনে ১৮৯২ সালে কাব্যনাট্যরূপে এবং ১৯৩৬ সালে নৃত্যনাট্যরূপে ‘চিত্রাঙ্গদা’ রচনা করেন। আমাদের (স্বপ্নদলের) ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি নির্মিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের কাব্যনাট্য পাণ্ডুলিপি অবলম্বনে। স্বপ্নদলের ‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনাটি ২০১১ সালে সার্ধশত রবীন্দ্রবর্ষ উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষযক মন্ত্রণালয়ের অনুদানে নির্মিত হয়। বাংলাদেশ ও ভারতে এ পর্যন্ত প্রযোজনাটির ৬৩টি সফল মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, ‘চিত্রাঙ্গদা নাটকটি পৌরাণিক কাহিনির আড়ালে যেন একালেরই নর-নারীর মনোদৈহিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং পাশাপাশি পারস্পরিক সম্মানাবস্থানের প্রেরণারূপে উপস্থাপিত হয়েছে।’

চিত্রাঙ্গদা নাটকের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

চিত্রঙ্গদার নাট্যকাহিনিতে উপস্থাপিত হয়েছে, মহাবীর অর্জুন সত্যপালনের জন্য একযুগ ব্রহ্মচর্যব্রত গ্রহণ করে মণিপুর বনে এসেছেন। মণিপুরের রাজকন্যা চিত্রাঙ্গদা অর্জুনের প্রেমে উদ্বেলিত হলেও অর্জুন রূপহীন চিত্রাঙ্গদাকে প্রত্যাখ্যান করেন। এতে অপমানিত চিত্রাঙ্গদা প্রেমের দেবতা মদন এবং যৌবনের দেবতা বসন্তের সহায়তায় এক বছরের জন্য অপরূপ সুন্দরী রমণী হন। এবারে অর্জুন যথারীতি চিত্রাঙ্গদার প্রেমে পড়েন। কিন্তু অর্জুনকে লাভ করেও চিত্রাঙ্গদার অন্তর্দ্বন্দ্বে ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকেন অর্জুন। প্রকৃতপক্ষে কাকে ভালোবাসেন, চিত্রাঙ্গদার বাহ্যিক রূপ নাকি তার প্রকৃত অস্তিত্বকে?

‘চিত্রাঙ্গদা’ প্রযোজনার গ্রন্থিকরা হলেন- সোনালী, জুয়েনা, শিশির, শ্যামল, রানা, জেবু, সুমাইয়া, সামাদ, ঊষা, অর্ক, সম্রাট, আলী, বিপুল, অনিন্দ্য, নিসর্গ, মাসুদ, সুকুমার, বিমল প্রমুখ।

প্রিয় বিনোদন/শান্ত