
মৌসুমী ভৌমিক। ছবি : সংগৃহীত।
সংগীতশিল্পী মৌসুমী ভৌমিক ঢাকায়
আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৮, ১৮:০৮
(প্রিয়.কম) মৌসুমী ভৌমিক। প্রখ্যাত ভারতীয় সংগীতশিল্পী। গত তিন দশক ধরে সুরের ভূবনে তিনি আলো ছড়িয়েছেন। অভিজ্ঞতা ও আবেগ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায় তার গানে।
নিজের লেখা গানগুলোর মতোই নির্দিষ্ট কোনো গণ্ডিতে নিজেকে বেঁধে ফেলতে চাননি মৌসুমী। তার ‘এখনো গল্প লেখো’ ও ‘আমি ঘর বাহির করি’ অ্যালবাম দুটি শুধু ভারতে নয়, বাংলাদেশের শ্রোতাদের কাছেও সমানভাবে জনপ্রিয়।
তার গাওয়া ‘যশোর রোড’ গানটির সাথে পরিচিত অনেকেই। জনপ্রিয় এই গানটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে একটি ঐতিহাসিক পটভূমি। মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালে যশোর-পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বাংলাদেশের শরণার্থীদের দুঃখ দুর্দশা দেখে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েন। যশোর সীমান্ত ও এর আশপাশের শিবিরগুলোতে বসবাসকারী শরণার্থীদের দুর্দশার এই অভিজ্ঞতাই গিন্সবার্গ তার কবিতাটিতে লিখেছিলেন। পরে দীর্ঘ ঐ কবিতায় সুর দিয়ে এটিকে গানে রূপ দিয়েছিলেন তিনি। মূলত এ গানটির বাংলা সংস্করণ গেয়েছেন মৌসুমী ভৌমিক।
সম্প্রতি গুণী এ সংগীতশিল্পী বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদের বাসায় এক ঘরোয়া আড্ডায় দেখা গেছে তার স্বতঃস্ফুর্ত উপস্থিতি। আনু মুহাম্মদের বাসায় ‘প্রাণ-প্রকৃতি’ বিষয়ক আড্ডায় অংশ নেন তিনি।
উল্লেখ্য, মৌসুমী ভৌমিক ২০০২ সালে ‘পারাপার’ নামে একটি গানের দল গঠন করেন, কলকাতা ও লন্ডনের সদস্য নিয়ে এটি গঠিত হয়েছিলো। ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য সংগীতে এক যথার্থ মেলবন্ধন তৈরি করাতেই এ গানের দলের সৃষ্টি।
তারেক মাসুদের ‘মাটির ময়না’ সিনেমার সংগীত পরিচালনাও তিনি করেছিলেন। এই সিনেমাটি ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচক পুরস্কার এবং ২০০৩ সালে করাচির কারা চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সংগীতের জন্য পুরস্কৃত হয়। এ ছাড়াও তিনি বাংলা লোকগান সংগ্রহ এবং এ নিয়ে গবেষণার কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বাংলাদেশে তার গবেষণার বড় দুটি ক্ষেত্র হচ্ছে বৃহত্তর ফরিদপুর এবং সিলেট।
প্রিয় বিনোদন/গোরা/আরএ