ছবি সংগৃহীত

৩০ বছরে কমেছে ৫৮ হাজার জিরাফ

সোহেলুর রহমান
লেখক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৭
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৬, ১৫:৪৭

ছবি: সংগৃহীত

(প্রিয়.কম) গত তিন দশকে পৃথিবী থেকে অন্তত ৫৮ হাজার, অর্থাৎ প্রায় ৩০ শতাংশ জিরাফ কমে গেছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশঙ্কা, প্রাণীজগতের অন্যতম বৃহৎ এ স্তন্যপায়ী সদস্য এভাবে কমে যেতে থাকায় জিরাফ ‘নীরব বিলুপ্তির পথে’এগিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক সংস্থা (আইইউসিএন) লম্বা গলার জিরাফকে ‘বিলুপ্তির ঝুঁকিতে’ থাকা প্রাণীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

সংস্থাটি বলছে, ১৯৮৫ সালে সারাবিশ্বে অন্তত ১ লাখ ৫৫ হাজার জিরাফ ছিল। কিন্তু ২০১৫ সাল পর্যন্ত, মাত্র ৩০ বছরে এ সংখ্যা কমে নেমে এসেছে ৯৭ হাজারে।



এতো অল্প সময়ে এতো বিপুল পরিমাণ জিরাফ কমে যাওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, এই তিন দশকে প্রাণীর খাদ্যভ্যাস ও আবাসের পরিবর্তন, শিকারিদের হামলা এবং আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাবস্থা ও অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করা হয়েছে।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অব্যাহতভাবে লম্বা গলার জিরাফ হ্রাস পেতে থাকলেও আফ্রিকার কিছু জায়গা, বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলে কয়েক প্রজাতির জিরাফের সংখ্যা কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে।



আইইউসিএনের জিরাফ বিষয়ক দলের কো-চেয়ার জুলিয়ান ফেনেসি বিবিসিকে বলেছেন, সবার মধ্যে হাতি ও গন্ডার নিয়ে উদ্বেগ থাকলেও লম্বা গলার জিরাফ নিয়ে কারো তেমন নজর ছিল না। ফলে দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ প্রাণীর সংখ্যা কমছে।

তিনি জানান, এ অঞ্চলে জনসংখ্যা বাড়তে থাকার কারণে খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি ও উন্নয়নকাজের কারণে বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন স্থানে জিরাফের চারণভূমি কমে আসছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ যেমন, কেনিয়ার উত্তরাঞ্চল,  সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান ও ইথিওপিয়ার সীমান্ত এলাকায় যুদ্ধ পরিস্থিতি জিরাফের সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে।



বিভিন্ন গবেষণায় জিরাফের প্রজাতি ৪টি বলা হলেও আইইউসিএনের লাল তালিকায় রাখা জিরাফকে এক প্রজাতির প্রাণী হিসেবেই বলা হয়েছে। তবে এর উপ-প্রজাতি ৯টি। এরমধ্যে ৫টি উপ-প্রজাতির জিরাফের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একটি প্রজাতির অবস্থা স্থিতিশীল আর বাকি তিন প্রজাতির সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী বলে জানিয়েছে আইইউসিএন।

তবে আশার কথা গবেষকরা জানিয়েছেন, জিরাফের কোনো কোনো প্রজাতি শেষ পর্যন্ত না টিকলেও দীর্ঘমেয়াদে এ প্রাণীর সম্পূর্ণ বিলুপ্তির ঝুঁকি কম।

সূত্র: বিবিসি

সম্পাদনা: আশরাফ ইসলাম