ছবি সংগৃহীত

মানুষকে ভয় পাওয়ার মারাত্মক মানসিক রোগ ‘অ্যানথ্রোপোফোবিয়া’

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ০৫ জুন ২০১৫, ০৪:১৯
আপডেট: ০৫ জুন ২০১৫, ০৪:১৯

(প্রিয়.কম) সন্ত্রাসী, ডাকাত, গুন্ডা, খুনি ধরণের মানুষকে অনেকেই ভয় পেয়ে থাকেন। এর কারণ তাদের কর্মকাণ্ড। আপনি মূল মানুষটিকে ভয় পাচ্ছেন না, পাচ্ছেন তার কাজ এবং তার ক্ষমতাকে। কিন্তু একজন নিরীহ মানুষকে আপনি ভয় পাবেন? না। হাতে গোনা কয়েকজন ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষকে ভয় পেয়ে চলতে আমাদের তেমন সমস্যা হয় না, কিন্তু যদি পৃথিবীর সকল মানুষকেই যদি পেতে থাকেন তাহলে বিষয়টি কেমন দাঁড়ায়? আপনি কি সবাইকে ভয় পেয়ে বেঁচে থাকতে চাইবেন ঘরের চার দেয়ালের মাঝে? মোটেই নয়। কিন্তু এই মানুষ ভয় পাওয়ার মারাত্মক মানসিক রোগ সম্পন্ন মানুষেরা এভাবেই বেঁচে থাকেন, ভয়ে ভয়ে। অ্যানথ্রোপোফোবিয়া কোনো সাধারণ মানসিক রোগ নয়। সকল মানুষকে ভয় পেয়ে চলার নামই অ্যানথ্রোপোফোবিয়া। চলুন তাহলে জেনে নিই এই রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকারগুলো।

কেন হয় এই রোগটি?

১) খুব কম বয়সে কোনো মানুষ দ্বারা অত্যাচারিত হলে, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে মনের ভেতরে ভয় ঢুকে যাওয়া থেকেই এই রোগের উৎপত্তি। ২) নিউরোলজিক্যাল কিছু বিষয়ের কারণে, যেমন অটিজমের কারণেও এই রোগের উৎপত্তি ঘটে। তবে, অনেক ক্ষেত্রেই এই রোগটির নির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না এবং এই সমস্যাটি যে কারো যে কোনো বয়সেই হতে পারে।

অ্যানথ্রোপোফোবিয়ার লক্ষণসমূহ

প্রাথমিক লক্ষণ- ১) এই রোগের মূল লক্ষণ হচ্ছে মানুষ ভয় পাওয়া। যে কোনো মানুষকে ভয়ের চোখে দেখতে থাকেন এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা। ২) কারো সাথে কথা বলতে গেলে ভয় পাওয়া, চোখ মুখ শুকিয়ে যাওয়া এবং শরীরে কাঁপুনি উঠা। ৩) মুখ চোখ রক্তবর্ণ হয়ে যাওয়া এবং ঘন ঘন শ্বাস নেয়া অথবা শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া। ৪) হার্টবিট খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনেক বেশি বেড়ে যাওয়া। মারাত্মক লক্ষণ- ১) মানুষের সাথে না মেশা এবং ঘরের অন্ধকার কোণে একাকী বসে থাকা। ২) মানুষ দেখলে ভয়ে চিৎকার করে উঠা এবং পরিচিত মানুষকেও চিনতে না পারা।

অ্যানথ্রোপোফোবিয়া রোগের চিকিৎসা

সাধারণ অন্যান্য মানসিক রোগের মতো না হলেও অ্যান্থ্রোপোফোবিয়া প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে মনোবিজ্ঞানীদের সাথে কথা বলা, থেরাপি নেয়া এবং সেশন নেয়ার মাধ্যমেই এই রোগটি পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। তবে অবহেলার কারণে এই রোগটি মারাত্মক হতে পারে এবং শেষ পর্যন্ত অনেক দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং সতর্ক থাকুন। সূত্রঃ phobias.about