ছবি সংগৃহীত

বিয়ে করতে যাচ্ছেন? দেখুন তো পাত্র/পাত্রীর মধ্যে এই ১০ টি গুণ রয়েছে কি না

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪, ১৫:১৪
আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪, ১৫:১৪

(প্রিয়.কম) কেউই চান না তার বিবাহবিচ্ছেদ হোক। মানুষ যখন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তখন সারাজীবন একসাথে একই ছাদের নিচে বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু একে অপরকে বুঝতে না পারা এবং ভুল বোঝাবুঝি বা সন্দেহের কারণে হয়তো বিবাহের সম্পর্কে টানাপোড়নের সৃষ্টি হয়। এবং বেশি টানাপোড়নের কারণে অনেক সময় না চাইতেও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তাই বিয়ের আগেই ভাবুন। পাত্র /পাত্রী পছন্দের সময় মাথায় রাখুন ভবিষ্যতের ব্যাপারগুলো। পাত্র/পাত্রী পছন্দ হলেও মিলিয়ে দেখুন তার কিছু গুণ রয়েছে কিনা যা ভবিষ্যতে আপনাদের দাম্পত্যজীবন সুখী করে তুলবে।

১) সততা ও বিশ্বস্ততা

অবিশ্বাসের এই যুগে সৎ ও বিশ্বস্ত মানুষের অনেক অভাব। নারী পুরুষ উভয়েরই পাত্র/পাত্রীর সততা ও বিশ্বস্ততার গুনটি রয়েছে কিনা দেখে নেয়া উচিত। কারণ একজন সৎ মানুষ নির্লোভ, স্বার্থহীন, ভালো মানুষ হন। এতে করে সংসারে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি। সততা ও বিশ্বস্ততা সম্পর্কে আশ্বস্ত হতে পাত্র/পাত্রীর আশেপাশের মানুষ ও কর্মক্ষেত্রে খবর নিতে পারেন।

২) ভালো শিক্ষাগত যোগ্যতা

পাত্র নির্বাচনের জন্য অনেক তোড়জোড় দিয়েই শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখা হয়। কারণ শিক্ষাগত যোগ্যতার সাথে ক্যারিয়ার জড়িত থাকে। কিন্তু এর পাশাপাশি পাত্রী নির্বাচনের সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখা উচিত। কারণ একজন শিক্ষিত মা সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে পারেন।

৩) ক্যারিয়ার নিয়ে সঠিক চিন্তা

সামাজিকভাবে সুপ্রতিষ্ঠিত পাত্র না হলে এবং ভালো ক্যারিয়ার না থাকলে পাত্রীর বাবা মা বিয়ে দিতে চান না। কিন্তু বর্তমান ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ক্যারিয়ার ভিত্তিক চিন্তা ভাবনা, যোগ্যতা এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যতটাও দেখা উচিত। কারণ যে ছেলে বা মেয়েটি আজ সুপ্রতিষ্ঠিত নন নিজের যোগ্যতায় ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন।

৪) সঠিক বয়সের পার্থক্য

আজকাল অনেকে এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না। সমবয়েসি কিংবা পাত্রী বড়ও বিয়ে করে থাকেন। কিন্তু স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী পাত্রের পাত্রীর চাইতে ৩-৫ বছরের বয়সের পার্থক্য থাকা উচিত। কারণ সাইকোলজিস্টদের মতে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের ম্যচিউরিটি একটু দেরিতে আসে।

৫) শারীরিক সুস্থতা

অনেকেই শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যের কারণে পাত্র/পাত্রী পছন্দ করে ফেলেন। কিন্তু বিয়সের আগে শারীরিক সুস্থতা নিয়ে সচেতন হওয়া উচিত দুপক্ষেরই। এর মানে এই নয় যে সাধারণ বিষয় ধরে বসে থাকা উচিত। ভবিষ্যৎ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে সুস্থতার পরীক্ষা করানো উচিত দুজনকেই।

৬) ব্যক্তিত্ব

একজন মানুষের কথা বার্তা এবং চাল চলনে অনেক কিছুই প্রকাশ পায়। পাত্র/পাত্রী নির্বাচনের সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন পাত্র/পাত্রী ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন কিনা। কারণ সৌন্দর্য থাকলেও ব্যক্তিত্ব না থাকলে মানুষের সৌন্দর্য মলিন হয়ে যায়।

৭) মানবিক গুণাবলী

মানুষটির মানবিক মূল্যবোধ কতোটা ভালো তা পরীক্ষা করে দেখা দরকার। কারণ নিজের চাইতে ছোটো এবং পজিশনের ছোটো মানুষের প্রতি তার আচরণ খারাপ হলে তার মানসিক এবং মানবিক মূল্যবোধ না থাকারই কথা। এবং এই ধরণের মানুষের সাথে সংসার পাতা যায় না।

৮) ভালো মানসিকতা

লক্ষ্য করে দেখুন তিনি কতোটা খোলা মানসিকতার মানুষ। কারণ মানসিকতা যদি ছোটো হয় তাহলে আপনার ব্যক্তিস্বাধীনতায় তিনি হস্তক্ষেপ করবেন এবং আপনার ওপর কারণে অকারনে সন্দেহের দৃষ্টি দেবেন। তাই এই ধরণের মানুষ নিরবাচন করে বসবেন না।

৯) কিছুটা হলেও হাসিখুশি মেজাজের

অনেকেই আছেন অনেক গম্ভীর মেজাজের হয়ে থাকেন কিন্তু তার মধ্যে কিছুটা হলেও রসবোধ থাকে। কিন্তু যারা সত্যিকার অর্থেই একেবারে গম্ভীর তাদের সাথে সংসার করা এবং সময় কাটানো বেশ কঠিন।

১০) আপনার সাথে মনের মিল

বিয়ের আগেই দেখে নিন আপনাদের মধ্যে মিলটা কতোখানি। আপনারা কি একই ধরণের চিন্তা করেন কিনা বা একই আদর্শে বিশ্বাসী কিনা। কারণ একজন অনেক খোলামেলা মনের অধিকারী হয়ে নিচু মনমানসিকতার মানুষের সাথে সংসার টিকিয়ে রাখতে পারবেন না। সূত্রঃ hellogiggles.com