ছবি সংগৃহীত

প্রিয় টিপস- ২৫ মার্চ। ২০১৩

Sharmin Boby
লেখক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০১৩, ০৪:০৫
আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৩, ০৪:০৫

দেখতে দেখতে গরমকাল এসে গেল। শীত কালের চাইতে গরম কালে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি থাকে । এই সময়ে পিপড়া থেকে শুরু করে তেলাপোকা সহ আরও নানান ধরনের পোকা উপদ্রব বাড়িয়ে দেয় । আর বৃষ্টি বাদল হলে তো কথাই নেই , নাম না জানা আরও কত রকমের পোকা যে কোন সময়ে বাতাসের সাথে জানালা দিয়ে ঢুকে পরতে পরে । খাবারে পিপড়া ধরা গৃহিণীর জন্য হয়ে যায় বাড়তি যন্ত্রণার কারণ । পোকামাকড় শুধু ঝামেলাই বাড়ায় না বিভিন্ন ধরনের রোগও ছড়ায় । এসব পোকামাকড় থেকে রক্ষা পেতে বাজারে বিভিন্ন ধরণের কীটনাশক পাওয়া যায় ।আরশোলার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের চক, ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পেতে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ, জাঁতাকল, বাক্সকল, আঠা, ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্যান্য পোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় মারার স্প্রে। আমরা যদি কিছু সতর্কতা মেনে চলি তাহলে এই সব পোকা মাকড়ের হাত থেকে দূরে থাকতে পারি- ১। আলমারিতে বা কাপড় রাখার যেকোনো স্থানে নিমপাতা শুকনো করে কাপড়ে বেঁধে কিংবা কালোজিরা কাপড়ের পুঁটলি করে রেখে দিলে কাপড়চোপড়ে পোকা আক্রমণ করে কম। ২। অনেক সময় কাপড়ের ভেতর ন্যাপথলিন ব্যবহার করলে পোকা ধরার আশঙ্কা কম থাকে এবং কাপড়ে সুঘন্ধ থাকে ৩। মাঝেমধ্যে রোদে দিলে কাপড়ে পোকা ধরে না। ৪। রান্নাঘরে চিনির কৌটায় দু-একটা লবঙ্গ রেখে দিলে পিঁপড়ের উপদ্রব কম হয়। ৫। ঘরের দেয়ালে উইপোকার উপদ্রব থেকে রেহাই পেতে দেয়ালের যে স্থান থেকে উইপোকা বের হয়, সেখানে কর্পূরের গুঁড়ার সঙ্গে লিকুইড প্যারাফিন মিশিয়ে দ্রবণ তৈরি করে দেওয়া যেতে পারে। ৬। শুকনো নিমপাতার গুঁড়ো রান্নাঘরের যেকোনো স্থানে ছড়িয়ে রাখলে পোকার উপদ্রব কম হয়ে থাকে। ৭। যেকোনো খাবার পোকার হাত থেকে রক্ষার জন্য খাবার টেবিলের ওপর যেন কোনো লাইট না রাখা হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। ৮। অবশ্যই বাড়ির নকশা করার সময় ডাইনিং রুমের খাবার টেবিলের ওপর কিংবা রান্নাঘরে চুলার ওপর লাইটের ব্যবস্থা রাখা যাবে না। কারণ, কোনো কোনো ঋতুতে লাইটে পোকার উপদ্রব বেশি থাকে। রেহাই পেতে হলে যা যা করতে হবেঃ ১। তেলাপোকা, ইঁদুর, মশা, মাছি- এসব পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে অবশ্যই প্রতিটা ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। ২। আমাদের বাসাবাড়িতে সাধারণত কালো ইঁদুরের উপদ্রব বেশি হয়ে থাকে। যেকোনো ধরনের ইঁদুরের হাত থেকে রেহাই পেতে ইঁদুরের গর্তের মুখে মরিচের ধোঁয়া দেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া ইঁদুরের গর্তে পানি ঢাললে ইঁদুরের উপদ্রব কমে। ৩। পোকামাকড় মারার ওষুধ অবশ্যই রাতে দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই আবার পরিষ্কার করতে হবে। ৪। ইঁদুর মারার ওষুধ খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে দিতে হবে। তাহলে দ্রুত ইঁদুর মারা যাবে। ৫। ঘরের যেখানে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকে সেখানে পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। ৬। ঘর থেকে মাছি দূর করতে গুড়ের সঙ্গে ফিনিশ পাউডার মিশিয়ে দিতে হবে। ৭। ঘর থেকে মশা-মাছি দূর করতে স্যাভলন দিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে। আর মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে ঘরে যেন আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। ৮। বাসাবাড়ির আশপাশের নর্দমা আবর্জনামুক্ত রাখতে হবে। ৯। গন্ধযুক্ত কোনো খাবার রাখা যাবে না ঘরে, তাতে মশা-মাছির উপদ্রব বাড়বে। ১০। সন্ধ্যার দিকে ধূপের ধোঁয়া দিলে মশার উপদ্রব কমে যায়। ১১। অকেজো কোনো জিনিস ঘরে রাখা যাবে না। ১২। পোকামাকড়ের উপদ্রব থেকে বাঁচতে কীটনাশক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এসব আমাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই ঘরোয়া ব্যবস্থাগুলো নিয়ে ঘরকে পোকামাকড়ের উপদ্রবমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।