ছবি সংগৃহীত

আসুন জানি: ব্লু - রে ডিস্ক

প্রিয় টেক
লেখক
প্রকাশিত: ২৩ জানুয়ারি ২০১২, ১৭:৫৯
আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১২, ১৭:৫৯

(প্রিয় টেক) ব্লু রে হল সিডি বা ডিভিডি এর মতই একধরণের অপটিকাল ডিস্ক ফরম্যাট। এর মূল ব্যবহার হচ্ছে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও, প্লেস্টেশন ৩ ভিডিও গেম, এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণে। প্রতিটি একক লেয়ার বিশিষ্ট ব্লু-রে ডিস্ক ২৫ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করতে পারে, আর দ্বৈত লেয়ারের ক্ষেত্রে এই ধারণক্ষমতা হয় ৫০ গিগাবাইট। যদিও এই ধারণক্ষমতা এখনো বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২০০ গিগাবাইটের ডিস্কও আবিষ্কৃত হয়েছে; এবং ১০০ গিগাবাইটের ডিস্কও আছে, যেগুলো কোনো অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ বা সফটওয়্যার ছাড়া শুধুমাত্র সাধারণ ব্লু-রে ডিস্ক রিডার ব্যবহারের মাধ্যমেই তথ্য পাঠ করতে পারে। এতে যে লেজার রশ্মি ব্যবহার করে রাইট করা হয় তা সিডি ডিভিডি এর চেয়ে অধিক সূক্ষ্ম খাঁজ ফেলতে সক্ষম। ব্লু-রে লেজার নাম হলেও এতে শুধু নীল রঙের লেজারই ব্যবহৃত হয় না বরং নীল সাথে বেগুনি লেজার ব্যবহার করা হয়। একটা সাধারণ সিডি-তে ৭০০ মেগাবাইট, ডিভিডি-তে ৪.৭ গিগাবাইট, দ্বৈত-লেয়ার ডিভিডি ১৭ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণ করতে পারে সেখানে একটি দ্বৈত-লেয়ার ব্লু-রে ডিস্ক ৫০ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য ধারণে সক্ষম । একটি ৫০জিবি ব্লু রে ডিস্কে নয় ঘণ্টার এইচডি ভিডিও রেকর্ড করা যাবে। এসডি (স্ট্যান্ডার্ড ডেফিনিশন) ভিডিও হলে তেইশ ঘণ্টা রেকর্ড করা যাবে। ডিভিডির মত ব্লু-রের গতিও "x" বোঝানো হয়ে থাকে তবে এর ১x মানে ৩৬ এমবিপিএস। এ গতি সাধারণত ২x থেকে ১২x পর্যন্ত হয়ে থাকে। ব্লু -রে ডিস্ক দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, ইতোমধ্যে বড় আটটি চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান (ডিজনি, ফক্স, ওয়ার্নার, প্যারামাউন্ট, সনি, লায়ন্সগেট, এমজিএম) তাদের মুভিগুলো ইতোমধ্যে ব্লু -রে ফরম্যাটে প্রিন্ট করা শুরু করেছে। বিশ্ব বাজারে এইচডি এখনো বেশ জনপ্রিয়, বিশেষ করে এলসিডি টিভির মূল্য দিন দিন কমে আসায় এ জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে।