(প্রিয়.কম) আমাদের চারপাশে রোজ কত ভালোবাসার সম্পর্কই তো গড়ে উঠছে। সেগুলোর কয়টা টিকে থাকছে? পারিবারিক ঝামেলা, সামাজিক ঝামেলার মতন ঝামেলাগুলো তো রয়েছেই। কিন্তু এগুলোর কোনটাই ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায় না, যদি একে অপরের প্রতী ভালোবাসা থাকে অটুট। আর সম্পর্ক টিকে থাকার সবচাইতে বড় হাতিয়ার এই মানসিক বন্ধন আলগা হয়ে যেতে শুরু করলে পরস্পরকে বুঝে চলার মানসিকতাটা আর থাকে না। আর এই না বোঝা, মনোমালিন্যের ব্যাপারগুলো থেকে সবচাইতে বেশি ভুগে থাকেন চুপচাপ আর মুখচোরা ধরনের মানুষেরা। একবার ভালো করে ভেবে দেখুন তো, আপনার সঙ্গীটিও কি খুব নিজের ভেতরে ডুবে থাকা, কম কথা বলা আর নিজেকে সহজে প্রকাশ না করতে পারা মানুষের দলের একজন? তাহলে তাকে নিজের ভালোবাসার অনুভূতিগুলো পৌঁছে দিন এভাবে।

১. সময় দিন-

ভালোবাসার মানুষটিকে কথা বলবার জন্যে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। এতে করে সে নিজে বিরক্ত হয়ে যাবে নিজের প্রতি আর আপনার প্রতিও। আরো চুপচাপ হয়ে যাবে সে। তাকে সময় দিন নিজের কথা গুছানোর। নাহয় চুপচাপ হাত ধরে দুজনে বসে থাকুন। খানিক বাদে সে নিজ থেকেই কথা বলা শুরু করবে।

২. কাজের তালিকা-

একজন চুপচাপ মানুষ নিজে কাজের কথা অন্যদেরকে মুখ ফুটে বলতে চাননা। হয়তো আপনার ভালোবাসার মানুষটিও আপনাকে প্রথম প্রথম নিজের প্রতিদিনের কী কাজ সেটা বলতে চাইবে না। এর মানে এটা নয় যে সে আপনাকে গুরুত্ব দেয়না। এর অর্থ সে এখনো ঠিক করে বুঝতেই পারেনি যে তার কাজের সময়টা জানা আপনার জন্যে প্রয়োজনীয়। কিন্তু আপনি তাকে জানান। তার কাজের সময়টা জেনে নিন। আর সেই অনুসারে তাকে সময় দিতে বলুন। কারণ কাজের সময়টা না জানতে পারলে জানবেন কী করে যে ঠিক কখন আপনার সঙ্গী আপনাকে সময় দিতে পারবেন?

৩. চিঠি বা ইমেইল-

ভালোবাসার মানুষটিকে একটা চিঠি বা ইমেইল দিন। তাকে জানান আপনার ভালোবাসার কথা। হয়তো তিনি এমনিতে চুপচাপ। কিন্তু মনের কথা সুন্দর করে গুছিয়ে লেখার ক্ষমতা খুব ভালো পরিমাণে বিদ্যমান থাকে এদের ভেতরে।

৪. ভিড় এড়িয়ে চলা-

চুপচাপ মানুষেরা ভিড় অপছন্দ করেন। ভিড়ের ভেতরে আরো বেশি চুপচাপ হয়ে যান। আর তাই ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে এমন স্থানে যান যেখানে খুব বেশি ভিড় নেই। রেষ্টুরেন্টে বসলেও ভেতরের ভিড়ে না বসে বাইরে বসুন।

৫. ধীরে কথা বলা-

কথা বলার সময় পাশের মানুষটাকে একটু সময় দিন সেগুলো বুঝে নেবার। চুপচাপ ধরনের মানুষেরা অনেকটা বেশি ভাবেন কোন ব্যাপার নিয়ে। শুনে ভালো লাগবে, সেই একই কারনে আপনার বলা কথাগুলোও খুব মনযোগ দিয়ে শুনবেন আর ভাববেন তিনি। কিন্তু তাকে ভাবনার সেই সময়টা দিন। খানিকটা ধীরে কথা বলুন।

৬. কথা না শোনানো-

পাশের মানুষটি কম কথা বলেন। সেটা নিয়ে তিনি যে বিব্রত নন, তা না। কিন্তু মনে রাখুন সে যেরকমই হোক আপনি তাকেই ভালোবেসেছেন। আর তাই চুপচাপ থাকার কারণে তাকে প্রাচীন মনমানসিকতার, লাজুক বা অন্য কোন কথা শোনানো থেকে বিরত থাকুন। এতে আরো বেশি চুপচাপ হয়ে যাবেন তিনি।

৭. শখ-

খেয়াল করুন আপনার ভালোবাসার মানুষটির কোন বিষয়ে আগ্রহ। সে কী ভালোবাসে? তার শখ কী? আর তারপর কথা বলুন তার ভালোলাগার ব্যাপারগুলো নিয়ে। দেখুন কত আগ্রহ নিয়ে কথা বলছেন তিনি। উপভোগ করছেন আপনার সঙ্গকে দারুনভাবে।

৮. নীরবতায় মানিয়ে নিন-

আপনার ভালোবাসার মানুষটি হয়তো ঘন্টার পর ঘন্টা চুপ থাকতে পছন্দ করে। মানিয়ে নিন তার এই নীরবতার সাথে। কোন ব্যাপারে সে ভুল করছে এমনটা দেখানো বন্ধ করুন। তাতে সে নিজের আচরণ পাল্টাতে গিয়ে বিরক্ত হবে আর অনেক বেশি পাল্টে যাবে। যেটা পরবর্তীতে প্রভাব ফেলতে পারে আপনাদের সম্পর্কে নেতিবাচকভাবে।

৯. সঙ্গ-

মুভি দেখার সময়, খেলা দেখতে যাওয়ার সময় নিজে থেকেই জানতে চান আপনি তার সাথে যাবেন কিনা। চুপচাপ মানুষদের কাছের বন্ধু খুব কম হয়। আর তাই কাজে লাগান সুযোগটি। আর সঙ্গে থাকার সময়টুকু নীরব থাকুন।

১০. ছেড়ে যাবেন না-

হয়তো আপনার ভালোবাসার মানুষটি মানুষের ভিড়ে, অনুষ্ঠানে অস্বস্তি বোধ করেন। আর তাই সামাজিক যেকোন অনুষ্ঠানে তাকে ছেড়ে যাবেননা। বরং তার কাছে কাছে থাকুন। কথা বলুন। সময়টাকে তার জন্যে সুন্দর করে তুলুন। হাতে হাত রেখে এই অনুবূতি দিন যে আপনি তার সাথে আছেন। তথ্যসূত্র- লাইফহ্যাক