ছবি সংগৃহীত

শরীরের কোন স্থানের ফোলাভাব কমানোর টিপস

সাবেরা খাতুন
লেখক
প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৫:১৫
আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬, ০৫:১৫

ফটোসোর্স : www.pinterest.com

(প্রিয়.কম)-  কোন আঘাতের পরেই শরীরের আঘাত প্রাপ্ত স্থান ফুলে যায়। আঘাতের প্রতি শরীরের প্রতিক্রিয়ার ফলেই এমনটা হয়। আপনি যখন শরীরের কোন স্থানে ব্যথা পান তখন আপনার শরীর সেই স্থানে প্রচুর তরল পাঠায়, এর ফলশ্রুতিতেই ঐ স্থানটি ফুলে যায়। যদিও ফুলে যাওয়া পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার একটি অংশ তারপর ও ফুলে গেলে ব্যথা ও অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এ কারণেই ব্যথা ও ফোলা কমানোর উপায় খুঁজি আমরা। হালকা ফোলা এমনিতেই চলে যায়। প্রাকৃতিক ভাবে ফোলা কমানোর উপায় জেনে নিই চলুন।

১। আক্রান্ত স্থানটি উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন

যদি তরল জমা হওয়ার কারণে ফোলার সৃষ্টি হয় তাহলে শরীরের ঐ স্থানটি উপরের দিকে উঠিয়ে রাখলেই ঐ স্থানের কিছুটা তরল সড়ে যাবে। হৃদপিন্ডের চেয়ে উপরের দিকে উঠিয়ে রাখতে হবে আক্রান্ত অংশটি।

২। পানি

প্রচুর পানি পান করুন। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর ফলে আক্রান্ত স্থানের জমা হওয়া তরল ও টক্সিন দূর হয়ে যায়।  

৩। ব্যান্ডেজ

ফোলা স্থানটিকে ব্যান্ডেজ করে নিতে পারেন। এর ফলে ঐ স্থানে তরল প্রবেশকে নিয়ন্ত্রণ করবে। তবে ঐ স্থানের রক্ত প্রবাহ যাতে বাঁধাগ্রস্থ না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৪। ঠান্ডা ও গরম সেঁক  

একটি কাপড় ঠান্ডা পানিতে ভিজিয়ে ফোলা স্থানটির উপর ২০ মিনিট রাখুন। এর ফলে ঐ স্থানের ফোলা কিছুটা কমে যাবে। এরপর একটি কাপড় গরম করে বা হট ওয়াটার ব্যাগ ঐ স্থানে রাখুন। এর ফলে ঐ স্থানের ব্যথা কমে যাবে।

৫। ম্যাসাজ

যদি ফোলা স্থানে ব্যথা না থাকে তাহলে সেখানে ম্যাসাজ করতে পারেন। ম্যাসাজ করার জন্য জাম্বুরার তেল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফোলা কমে যাবে।

৬। লেবু পানি

লেবু পানি এবং শসার পানি শরীরের প্রদাহ কমতে সাহায্য করে। তাই লেবু পানি ও শসার পানি পান করতে পারেন।

৭। সোডিয়াম

শরীরের কোন স্থানে ফুলে গেলে সোডিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাবেন না এবং লবণ খাবেন না। কারণ সোডিয়াম শরীরে পানি জমতে সাহায্য করে।

৮। বিশ্রাম নিন

শরীরের ফোলা স্থানের ব্যথা কমানোর জন্য কাজ থেকে বিরতি নিন এবং বিশ্রাম নিন। অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না।

উপরোক্ত প্রতিকারগুলো মেনে চলার পর ও যদি ফোলা না কমে বা ফোলা আরো বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য উপসর্গ যেমন- ব্যথা, জ্বর, শ্বাসকষ্ট হওয়া ও মূত্র ত্যাগের পরিমাণ কমে গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

লিখেছেন

সাবেরা খাতুন

ফিচার রাইটার, প্রিয় লাইফ

প্রিয়.কম