ছবি সংগৃহীত

ললিতার চিঠি ২ : ভয়ানক এক মাইন্ড গেম খেলল ছেলেটা!

Sazzad Reza
লেখক
প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৩, ১৪:৩০
আপডেট: ২৫ অক্টোবর ২০১৩, ১৪:৩০

প্রিয় পাঠক, ললিতা নামের কেউ একজন চিঠিগুলো লিখেছিল। চিঠিগুলো পাওয়া গেলেও পাওয়া যায়নি ললিতার পরিচয়। চিঠিগুলো যিনি উদ্ধার করেছিলেন, তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখেছিলেন সাথে। আর তাতে লেখা ছিলঃ "একটি টিনএজ মনের পরিমণ্ডলে স্বপ্ন, প্রতিকূলতা, প্রেম, যৌনতা, ড্রাগ ইত্যাদির প্রভাব দেখতে চিঠিগুলো পড়তে পারেন আগ্রহী যে কেউ।" আজ দেয়া হল ললিতার দ্বিতীয় চিঠি।- লেখক ঢাকা ২৪ অক্টোবর। প্রিয় বন্ধু, এতো দিন লিখতে ইচ্ছে করেনি। অনেক অপেক্ষা করলে, তাই না? ওহ! আজ তোমাকে জানানোর কথা ছিল জিনির প্রেম নিয়ে। সেটা নিয়েই লিখছি। জিনির সাথে সাফাতের যোগাযোগটা হয় এনিমি কার্টুনের ফ্যান হিসেবে। দুজনই ফ্যান। তবে তফাৎ ছিল। জিনির পছন্দ ছিল, এনিমির সরল ভঙ্গিমা এবং সাহসী রূপ। কিন্তু এনিমি কার্টুনের পর্ণগুলো সাফাতকে পাগলের মতো টানত। একদিন স্কুলে টিফিনের সময় নোটিশ বোর্ডের সামনে দুজনের পরিচয় হয়। এরপর মাঝে মাঝে কথা হতো তাদের। তত দিনে পরস্পরের বার্থডে জেনে যায় তারা। সেদিন ছিল জিনির জন্মদিন। হাই! জিনি, তোমার জন্য একটা কার্ড এনেছি। দেখি! খামটা খোলে জিনি। আংশিক একটা চোখ। ও মাই গুডনিস! কীভাবে জানলে আমি এর ভক্ত? কি বললে, তুমি এর ভক্ত, তাই নাকি? আরে, আমি তো তোমাকে দিয়েছি আমি পছন্দ করি সেজন্য! উত্তেজনা যেন আটকে রাখতে পারে না জিনি ও সাফাত। এনিমির একটি চোখের আংশিক ছবি--এই ছিল ওদের শুরু। এরপর কিছুবেশি সময় কথা হতে থাকে টিফিনে বা ক্লাসের ফাঁকে। ওরা পরস্পর বিনিময় করতে থাকে এনিমির বই, ডিভিডি, কার্ড। সাফাতের প্রতিটা ক্লাস নিশ্চুপ লাগা শুরু করলো। জানালার গ্লাস দিয়ে সে বাইরে তাকাত। পাশের রাস্তার গাড়িগুলো খুব দারুণভাবে চলে যেতো যেন, রাস্তার জ্যাম? না, সে আর বুঝতে পারত না। আকাশটাও কি নিশ্চুপ। তার চোখের সামনে ভাসতো জিনির উঠতি ক্লিভেজ। দুরু দুরু কাঁপত- সাফাতের আঙ্গুল, ঠোঁট এবং বুক! মনে ভাসতো- সব নীরবতা ভেঙ্গে এই বুঝি তার নাকে ঘষা লেগে যাবে। "তুমি কি ব্রা পড়?" জানার এমন একটা চিরকুট লিখে সে। কিন্তু বিধিবাম! ম্যামের হাতে ধরা পড়ে সাফাত। সারা স্কুল রাষ্ট্র হয়ে যায়, ম্যামের ব্রা-এর হিসেব নিতে শুরু করেছে সাফাত! তবে, শেষ পর্যন্ত অজানা কারণে ম্যাম কিছু বলেনি সাফাতকে। যা হোক, জিনি বা সাফাতের মা কিংবা বাবা যাদের কথাই বলো না কেন কেউই এই কার্টুন পছন্দ করত না। দুজনের জীবনে এই কার্টুন নিয়ে একজনের আছে করুন কাহিনী আর একজনের আছে হাসির কাহিনী। একদিন জিনি কার্টুন দেখছিল আর চুলগুলো চিরুনি করছিলো। ফ্যানের বাতাসে উড়ছিল চুলগুলো। কিছুতেই গুছানো যাচ্ছিলো না। এনিমিতে এতো মশগুল ছিল যে, শুনতে পায়নি যে ওর মা ডাকছে, চিৎকার করছে। কিন্তু যখন ধোঁয়া দেখতে পায় তখন তার বোধ আসে। ছুটে যেয়ে দেখে সর্বনাশ হয়ে গেছে। চুলোর গ্যাসের আগুনে পুড়ে যায় জিনির মায়ের হাত। অল্পের জন্য বেঁচে যান তিনি। আর, সাফাতের কাহিনী মজার। সাফাতের বাবা দেশে থাকেন না। অনেকদিন পর দেশে এসেছেন। তাই ছেলেকে নিয়ে তাঁর আহ্লাদের শেষ ছিল না। একদিন সাফাত বসে এনিমির পর্ণ দেখছিল। এমন সময় ওর বাবা ঘরে ঢুকে। দেখি বাবা কি দেখিস? আমিও একটু দেখি! না, বাবা না! আকাশ থেকে পড়ে যেন ব্যস্ত হয় সাফাত। দেখি, দেখি না দেখি! বালিশ নিয়ে মনিটরে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাফাত। উফস! মনিটর, বালিশ এবং সে মেঝেতে পড়ে যায় হুড়মুড় করে! উফস! রক্ষা পায় সাফাত। সাফাত আর জিনির এক সময় কথা হতে থাকে অনেক। তখন ওদের কথায় চার ভাগের তিন ভাগ জায়গা জুড়ে থাকতো এনিমি। এরপর সচেতনভাবে সাফাত একটা কাজ করেছিলো। বলতে পারো, সে একটা মাইন্ড গেম খেলা শুরু করলো। ভয়ানক মাইন্ড গেম! সাধারণ কার্ড, ডিভিডির মাঝে সে সচেতনভাবে জিনিকে দুএকটা পর্ণ পাঠানো শুরু করলো। সে জিনির মনের গভীরতা মাপতে শুরু করলো। স্কুল পড়ুয়া একটা ছেলে এমন মাইন্ড গেম কী ভাবে খেলতে পারে, সেটা আমার কাছে এখনও রহস্য। প্রথম প্রথম একটু না, না করলেও জিনি নিষেধ করতে পারেনি। তাতে কি হল তুমি বলতে পারবে? তাদের মাঝের শ্রদ্ধাবোধের দেয়ালটা ভেঙ্গে গেলো। সেক্সই হয়ে গেলো তাদের কথার টপিক, একমাত্র টপিক। সাফাতের সাথে সেক্স সম্পর্কিত গল্প করতে ভালো লাগতো, এ কথা জিনি আমার কাছে স্বীকার করেছিল। প্রতি রাতে এরপর চলতে লাগলো তাদের কথা। সাফাত কথা শুরু করতে না করতে সেক্সের দিকে চলে যেতো। জিনি বলতো, এসব কথা ছাড়া তোমার কি কোন কথা নেই! না, সাফাতের আর কথা ছিল না। তাই, মেনে নেয়া ছাড়া জিনির উপায় ছিল না। এই! আজ তুমি কি পড়ে আছো? ফোন সেক্স শুরু হয় তাদের। এরপর, অনেক গভীর সমস্যায় ডুবে যায় জিনি এবং সাফাত। এসব কিছু আগামী চিঠিতে। তুমি কেমন আছ? জানি, এই উত্তর আমি পাবো না! হিহিহি! ভালো থেকো। ইতি, ললিতা (চলবে) (লেখার কাহিনী ও চরিত্র সমস্তই কাল্পনিক)