ছবি সংগৃহীত

যখন মানিয়ে চলতে পারছেন না বন্ধুদের সাথে...

প্রিয় লাইফ
লেখক
প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৫, ১৬:৪৪
আপডেট: ১৮ আগস্ট ২০১৫, ১৬:৪৪

(প্রিয়.কম)- বন্ধুত্ব এমন একটা বিষয় যা কোন ফ্রেমে আটকে রাখা যায় না। পৃথিবীটা টিকেই আছে বন্ধুদের পারস্পারিক ভালোবাসার উপর। কিন্তু অনেক মানুষ বন্ধুর সাথে ঠিকমত মানিয়ে চলতে পারেন না। নিজের ভুলটাও খুঁজে না পেয়ে তারা হতাশায় ভোগেন। আসুন ভালো বন্ধু হওয়ার কিছু উপায় জেনে নিই।

প্রতিজ্ঞা রক্ষা করুন:

বন্ধুকে কখনও এমন কোন কথা দেবেন না, যা আপনার পক্ষে রাখা সম্ভব নয়। নিজের সামর্থ্যের উপর ভিত্তি করে প্রতিজ্ঞা করুন। ‘প্রতিজ্ঞা করাই হয় ভেঙে ফেলার জন্য’ আজই এই ভুল ধারণা মন থেকে মুছে ফেলুন। আর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে তারা কখনও ভালো বন্ধু হতে পারে না।

বিশ্বাসের মর্যাদা দিন:

আপনার বন্ধু আপনাকে বিশ্বাস করে কিছু বললে, সেটা নিজের মধ্যেই রাখুন। কারণ যে কোন সম্পর্কে বিশ্বাস জিনিষটাই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ। কোন কারণে আপনাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে তা মিটিয়ে ফেলার সর্বাত্মক চেষ্টা করুন।

তার পাশে থাকুন:

একজন বন্ধু বিপদে পড়লে অন্য একজন বন্ধু তার পাশে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এর ব্যাতিক্রম ঘটলেই সমস্যার সৃষ্টি হবে। তাই দৃঢ় কণ্ঠে আপনার বন্ধুকে বুঝিয়ে বলুন যাই ঘটুক না কেন আপনি তার পাশে থাকবেন। শুধু মুখে নয়, কর্মেও এই কথার পরিচয় দিন। মনে রাখবেন বন্ধুর বিপদে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়া মানুষটা আর যাই হোক, বন্ধু হতে পারে না।

ভুল করলে ক্ষমা প্রার্থনা করুন:

বন্ধুর প্রতি কোন অন্যায় বা ভুল করলে ক্ষমা চাইতে পেছপা হবেন না। মনে রাখবেন এই ক্ষমা প্রার্থনা আপনার সম্মান কমিয়ে দেবে না, বরং বাড়িয়ে দেবে।

বন্ধুকে ব্যবহার করবেন না:

অনেক মানুষ বন্ধুত্ব গড়েন বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে। তারা বন্ধুকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। কিন্তু এটি সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটায়। বন্ধুত্ব দেওয়া এবং নেওয়ার একটা মিলবন্ধন হিসাবে কাজ করে। তাই শুধু পাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে এগোনো সঠিক মানসিকতার পরিচায়ক নয়। বন্ধু আপনাকে অনেক কিছুই দিতে পারে। কিন্তু আপনি সর্বদা মনে রাখবেন বন্ধু আপনাকে কী দিল সেটা মুখ্য নয়, বরং আপনি তাকে কী দিচ্ছেন সেটাই মুখ্য।

আপনাকে ভালো শ্রোতা হতেই হবে:

বন্ধুত্বে শেয়ারিং বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর শেয়ারিং তার সাথেই করা যায়, যিনি ভালো শ্রোতা। তাই বন্ধুর সব কথা, আবেগ অনুভূতি মন দিয়ে শুনুন, বোঝার চেষ্টা করুন, তাকে সমর্থন দিন। একইসাথে আপনি মনের কথাগুলো তাকে খুলে বলুন।

পারস্পারিক সম্মান বজায় রাখুন:

বন্ধুত্বে পারস্পারিক সম্মান বজায় রাখা খুবই দরকারি একটি বিষয়। আপনি বন্ধুর চেয়ে পড়ালেখায় ভালো বা আপনি তার চেয়ে বড় চাকরি করেন এসব ব্যাপার যেন কখনোই আপনাদের বন্ধুত্বে প্রভাব না ফেলে। কারণ বন্ধুত্বে উঁচু, নিচু , ধনী গরীবের কোন স্থান নেই। এখানে সবারই এক পরিচয়, সে বন্ধু। এ বিষয়টা বাদেও বন্ধুর মতামতকে আপনার মুল্যায়ন করতে হবে। আপনার চোখে যা ভালো লাগছে, তার চোখে তা খারাপও লাগতে পারে। তার যুক্তিগুলো মন দিয়ে শুনুন, নিজের ভুল থাকলে শুধরে নিন। সূত্রঃ wikihow.com ফটো ক্রেডিটঃ Azim Alahi