ছবি সংগৃহীত

পৃথিবীর সবচাইতে বীভৎস ৭ খাবার(দেখুন ছবিতে)

জুলকারনাইন মেহেদী
লেখক
প্রকাশিত: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৭:১২
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, ১৭:১২

এ পৃথিবী অনেক বড় ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ধরণের খাবার প্রচলিত। তাই যে খাবারটি এক দেশের মানুষ তৃপ্তি সহকারে খেতে পারে, অন্য দেশের মানুষের কাছে সেটা হতে পারে নেহাতই ঘৃণ্য ও বমি উদ্রেককারী। আজকের ফিচারে রইলো সেরকমই কয়েকটি অদ্ভুতুড়ে সুস্বাদু কিন্তু বীভৎস খাবারের কথা, সাথে ছবিও। তবে সাবধান, দুর্বল মনের মানুষদের এই ছবি গুলো না দেখাই ভালো! (১) এ খাবারের নাম হচ্ছে ‘বালুত’। ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনামে এটা বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। এটা আসলে হাঁস কিংবা মুরগীর সিদ্ধ ডিম, যার ভেতরে থাকে হাঁস বা মুরগীর ভ্রূণ। ডিমের খোসার ভেতরের ভ্রূণ ও কুসুমটিকে খাওয়া হয়। এটা বেশ উচ্চ-প্রোটিন সমৃদ্ধ। ছবি-জন ইয়ং, ইউ কে। (২)যাই হোক, ষাঁড়ের পুরুষাঙ্গও প্যাকেটবন্দী হয়ে বিক্রি হতে দেখলে অবাক হবেন না। কে বলেছে মানুষ সর্বভূক নয়!ছবি-monica

(৩)এ ছবিটি হলো রোস্ট করা গিনিপিগের। পেরু,বলিভিয়া, ইকুয়েডর, কলম্বিয়াতে গিনিপিগ পালন করা হয় এদের মাংসের জন্য। শূকর ও গরু পালনের তুলনায় গিনিপিগের জন্য জায়গা লাগে কম, তাই এটা বেশ লাভজনকও বটে। আর গিনিপিগের মাংসে রয়েছে অনেক বেশি প্রোটিন, কিন্তু কম চর্বি ও কোলেস্টেরল। শুধুমাত্র পেরুতেই প্রতি বছর ৬৫ মিলিয়ন গিনিপিগ খাওয়া হয়। ছবি-10b traveling।
(৪)বেশ, অক্টোপাসগুলো মুখে ঢুকিয়ে দেবেন ও সেগুলো এদের আটটি পা দিয়ে বেয়ে বেয়ে আপনার গলার ভেতর দিয়ে পেটে চলে যাবে। জীবন্ত অক্টোপাস দিয়ে তৈরি এ খাবারের নাম Sannakji। ছবি- toughkidcst।
(৫)শূকরের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক। ছবি-villageofjoy
(৬)হরিণের অমরা বা প্ল্যাসেন্টার স্যুপ। সাথে দেয়া হয় মাশরুম, কালো মুরগী, ফুল ও হরিণের রগ। এ স্যুপ নাকি দেহের বল বৃদ্ধিকারক! ছবিঃ weirdmeat.com
(৭)... এবং সবশেষে বিক্রির অপেক্ষায় থাকা মেষের অণ্ডকোষ! ছবি-Fraser Lewry