ছবি সংগৃহীত

ধার দেয়া টাকা নিশ্চিন্তে ফেরত পেতে চান? তাহলে অবশ্যই মনে রাখুন ৬ টি বিষয়

Kaniz DIya
লেখক
প্রকাশিত: ০৫ জুলাই ২০১৪, ১৮:৪৮
আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৪, ১৮:৪৮

(প্রিয়.কম) যারা অনেক বেশি "দিল খোলা" ধরণের মানুষ হন তারা বেশীরভাগ সময়েই কী করে অন্যকে সাহায্য করতে পারেন তা ভেবে থাকেন। অন্যের বিপদে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়াই তাদের কাজ। কিন্তু এই ধরনের মানুষগুলো অনেক সময়েই নিজের সমস্যা করেও অন্যকে সাহায্য করতে নেমে যান। কিছু কিছু সময় হয়তো কাজটি ঠিক হয়। কিন্তু কিছু সময়ে বিপদে পড়তে পারেন। বিপদে পড়লে টাকা ধার দেয়া-নেয়া করেন অনেক মানুষই। কিন্তু সব সময় এই কাজটি করা উচিৎ এবং কাজটির অভিজ্ঞতা সুখকর হয় না। তাই কাউকে সাহায্য করতে চাইলেও সব দিক ভেবে দেখাই বুদ্ধিমানের কাজ। বিশেষ করে টাকাটা আপনি ফিরে পাবেন কিনা, কিংবা ফিরে পাবার সম্ভাবনা আদৌ কতটুকু। ধার দেয়া টাকা নিশ্চিন্তে ফেরত পেতে চান? আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক টাকা ধার দিতে গেলে যে বিষয়গুলো অবশ্যই মাথায় রাখা উচিৎ।

সত্যিই কি টাকা ধার দিতে পারবেন কিনা চিন্তা করে দেখুন

আপনার সাহায্য করার পুরোপুরি ইচ্ছা হয়তো থাকতে পারে কিন্তু আপনার নিজের দিকটাও বিবেচনা করে দেখা অনেক বেশি জরুরী। আপনি কাউকে বেশ বড় অংকের টাকা ধার দিলেন কিন্তু দেখা গেল তাতে আপনার নিজের অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। তাহলে কিন্তু বেশ ভালো বিপদেই পড়ে যাবেন আপনি। তাই প্রথমে ভবে দেখুন টাকাটা কি আসলেই ধার দিতে পারবেন আপনি, তারপর ধার দিন।

সামর্থ্য অনুযায়ী টাকা ধার দিন

আপনার যতোটুকু ধার দেয়ার সামর্থ্য ঠিক ততো টাকাই ধার দিন। আপনি নিজে অন্যের কাছ থেকে টাকা এনে কাউকে ধার দিতে যাবেন না। এতে বিপদে আপনি পড়ে যেতে পারেন। তিনি যদি আপনার ধার ঠিক মতো শোধ না করতে পারেন তবে আপনারই ঝামেলা বেশি। সুতরাং সামর্থ্যের বাইরে টাকা ধার দিতে যাবেন না।

লিখিত রাখুন

বড় অংকের টাকা কাউকে ধার দিতে গেলে সবার প্রথমে টাকা ধারের শর্ত এবং চুক্তির ব্যাপারে কথা বলে নিন। কতো টাকা ধার দিচ্ছেন, কোনো সুদ নিচ্ছেন কিনা কিংবা কিভাবে তিনি আপনার ধার শোধ করবেন, কিস্তিতে নাকি একসাথে সব ব্যাপারে কথা বলে চুক্তি করুন। এবং অবশ্যই চুক্তি ও শর্ত একটি স্ট্যাম্প পেপারে লিখে দুপক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে রাখুন।

একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন

একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিন ধারকৃত টাকা শোধ করার। যদি একসাথে সব টাকা শোধ করার চুক্তি থাকে তাহলে সেভাবে সময় নির্ধারণ করুন। আবার যদি কিস্তিতে টাকা শোধের চুক্তি থাকে তবে মাসে কিস্তি হবে নাকি ৩ মাসে একবার কিস্তি হবে তা ভালো করে উল্লেখ করে দিন। এতে করে দুপক্ষেরই সুবিধা হবে।

টাকা ধার দেয়ার সময় বিশ্বস্ত সাক্ষী রাখুন

বড় অংকের টাকা ধার দেয়ার সময় সাথে বিশ্বস্ত সাক্ষী রাখুন। কেউ কারো মনের খবর রাখতে পারেন না। হতে পারে যিনি এখন বিপদে পড়ে আপনার কাছে সাহায্য চাইছেন তিনিই পরবর্তীতে আপনার সাহায্যের কথা ভুলে যেতে পারেন। তাই চুক্তি পত্র সহ প্রমানের জন্য টাকা ধারের সময়া বিশ্বস্ত সাক্ষী রাখুন পাশে।

নিয়মিত ধার দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন না

টাকা ধার দেয়ার ব্যাপারটিতে আপনি আপনার নিজের সহযোগী মনোভাবটি দেখলেও এটি আসলে তেমন ভালো কাজ নয়। আপনি সাহায্য করছেন ঠিক আছে, কিন্তু যদি আপনি নিজের ক্ষতি করে বারবার এবং কেউ চাইলেই টাকা ধার দিয়ে দেন তবে তা আপনার জন্য অবশ্যই মঙ্গলজনক নয়।