গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ফলে ইসরাইলি সেনাবাহিনী এখন চরম যান্ত্রিক ও রসদ সংকটে ভুগছে। দেশটির ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং অস্ত্রের গুরুতর প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দিয়েছে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম মা’আরিভ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় মোতায়েন সেনা, কোম্পানি ও ব্যাটালিয়নের কমান্ডার এবং জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর বহু সরঞ্জাম এখন ব্যবহার-অযোগ্য হয়ে পড়েছে এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ৭ম সাঁজোয়া ব্রিগেড ট্যাংকার ইঞ্জিন, ট্র্যাক ও কন্ট্রোল সিস্টেমের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশের সংকটে ভুগছে।
ইসরাইলি বাহিনীর এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা গত দুই বছর ধরে গাজা, লেবানন ও সিরিয়ায় যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছি। একটার পর একটা মিশনে অংশ নিয়ে যানগুলো অব্যাহতভাবে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে পড়ছে। কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয়, এখন এসব সরঞ্জামের আয়ুষ্কাল শেষের পথে।’
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেবল ৭ম ব্রিগেডই নয়—সাধারণ সেনাবাহিনীর সব ইউনিটেই এই সংকট দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সাঁজোয়া, কামান ও পদাতিক বাহিনীতে।
সাম্প্রতিক এক ঘটনার উল্লেখ করে মা’আরিভ জানিয়েছে, গাজা শহরের জাবালিয়ায় গিভাতি ব্রিগেডের একটি ট্যাংকের কামান অতিরিক্ত গরম হয়ে আগুন ধরে যায়।পরে যখন দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তাদের সঙ্গে থাকা কনভয় হামাসের পুঁতে রাখা আইইডি-র (বোমা) শিকার হয়। এতে তিন সেনা নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হন।