
ছবি সংগৃহীত
জান্নাত ও জাহান্নাম পরিচিতি : জাহান্নাম পর্ব : জাহান্নামের শ্রেণী বিন্যাস
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৪, ১২:০০
জাহান্নামের শ্রেণী বিন্যাস মহান আল্লাহ বলেন, لَهَا سَبۡعَةُ أَبۡوَٰبٖ لِّكُلِّ بَابٖ مِّنۡهُمۡ جُزۡءٞ مَّقۡسُومٌ ٤٤ #الحجر: ٤٤] ‘‘জাহান্নামের সাতটি দরজা (স্তর) আছে। প্রত্যেকটি দরজার জন্য ভিন্ন ভিন্ন দল নির্ধারিত হয়েছে।’’ (সূরা আল-হিজর: ৪) অর্থাৎ জাহান্নাম হচ্ছে পরলোকের এমন একটি বিশাল এলাকা যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানত: সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে: যথা: 1)হাবিয়া। 2)জাহীম। 3)সাকার। 4)লাযা। 5)সাঈর। 6)হুতামাহ্ । 7)জাহান্নাম। বিভিন্ন স্তরে বিভিন্ন ধরনের অপরাধীরা শাস্তি ভোগ করবে। যেমন: কাফের, মুশরিক, ব্যভিচারী, সুদখোর, ঘুষখোর ইত্যাদি, সবার জন্যই ভিন্ন ভিন্ন স্তরে শাস্তি নির্দিষ্ট আছে। আবার প্রত্যেকটি স্তরের অনেকগুলো ঘাঁটি আছে। যথা: গাছ্ছাক: একটি হ্রদ। যা জাহান্নামীগণের রক্ত, ঘাম ও পুঁজ ইত্যাদি প্রবাহিত হয়ে সেখানে জমা হবে। গিছলিন: এটা হচ্ছে জাহান্নামীদের মল-মুত্র জমা হওয়ার স্থান। জাহান্নামীরা যখন খুব ক্ষুধা-তৃষ্ণা অনুভব করবে তখন উপরোক্ত দু’জায়গা হতে পানাহার করতে দেয়া হবে। তাছাড়া ‘তীনাতুল খাবাল’’ নামক বিষ ও পুঁজে পরিপূর্ণ আরেকটি কুপের কথাও হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে। সাউদ: এটা তীনাতুল খবলের পাড়ে অবস্থিত একটি বিশাল পাহাড়। এক শ্রেণীর জাহান্নামীদেরকে ঐ পাহাড়ের উপর উঠায়ে সজোরে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলা হবে, পূণরায় উঠানো হবে এবং ফেলা হবে এভাবে শাস্তি দেয়া হবে। ইরশাদ হচ্ছে: سَأُرۡهِقُهُۥ صَعُودًا ١٧ #المدثر: ١٧] ‘‘সহসা-ই আমি তাকে সাউদ নামক পর্বতে চড়াবো।’’ (সূরা মুদ্দাসসির: ১৭) যুববুল হযন: এটা জাহান্নামীদের আরেকটি ঘাঁট। এখানে রিয়াকার ও অহংকারী লোকদেরকে শাস্তি দেয়া হবে। গাই: এটা জাহান্নামের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর জায়গা। কেননা ‘গাই’য়ের ভীতিজনক হুংকার শ্রবণে জাহান্নামের অন্যান্য স্থান প্রতিদিন ‘গাই’ হতে চারশত বার আশ্রয় প্রার্থনা করে। লেখক : ড. মোঃ আব্দুল কাদের সম্পাদনা : ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সৌজন্যে : ইসলামহাউজ