যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, কালিজিরার তেল জয়েন্টের প্রদাহ কমাতে দারুণ কাজে আসতে পারে। প্রচলিত ব্যথানাশক ওষুধের মতো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও নেই এতে।হাঁটুব্যথা (অস্টিওআর্থ্রাইটিস) আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিয়ে করা সেই গবেষণায় দেখা গেছে, হাঁটুব্যথা কমিয়ে স্বাভাবিক হাঁটাচলায় সহায়ক ভূমিকা রেখেছে কালিজিরার তেল। যাঁরা কালিজিরার তেল সেবন করেছেন, তাঁদের ব্যথানাশক নিতে হয়েছে অনেকটাই কম।
আর্থ্রাইটিস হলো জয়েন্টের প্রদাহ
আর্থ্রাইটিসের ব্যথায় ভুগতে হতে পারে দিনের পর দিন। হাঁটুব্যথা (অস্টিওআর্থ্রাইটিস) আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় ব্যথানাশক এবং স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হয়। তাতে রোগী সাময়িকভাবে উপকৃত হলেও নানা জটিলতার ঝুঁকিতে পড়েন। তাই ব্যথা কমাতে প্রাকৃতিক টোটকার খোঁজ করেন অনেকেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, সীমিত আয়ের দেশে তিন-চতুর্থাংশেরও বেশি মানুষ প্রাথমিকভাবে ভেষজ চিকিৎসার ওপর নির্ভর করেন। ঐতিহাসিকভাবেই কালিজিরা জনপ্রিয় ভেষজ উপাদান। কালিজিরার পুষ্টিগুণও দারুণ। দেহের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামিনো অ্যাসিড, উপকারী স্নেহ পদার্থ, আঁশ এবং খানিকটা শর্করাও রয়েছে কালিজিরায়।
যেভাবে হয়েছিল সেই গবেষণা
৫০–৭০ বছর বয়সী ১১৬ জন ব্যক্তি, যাঁরা হাঁটুব্যথায় (অস্টিওআর্থ্রাইটিস) ভুগছেন, তাঁদের নিয়ে করা হয়েছিল এই গবেষণা। গবেষণার জন্য দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল এই ব্যক্তিদের। একটি দলের সদস্যদের প্রতি আট ঘণ্টা অন্তর আড়াই মিলিলিটার করে কালিজিরার তেল সেবন করতে দেওয়া হয়েছিল। অন্য দলটিকে তা দেওয়া হয়নি। এক মাস কেটেছে এভাবে। শেষ পর্যন্ত গবেষণা কাজটির সঙ্গে থেকেছেন প্রথম দলের ৫২ জন এবং দ্বিতীয় দলের ৫৪ জন সদস্য। তাঁদের অভিজ্ঞতা বিশ্লেষণ করেই পাওয়া গেছে ফলাফল।