
ছবি সংগৃহীত
কিভাবে বুঝবেন সমস্যাটা থাইরয়েড হরমোনের?
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৪:১২
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৪:১২
আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৩, ০৪:১২
থাইরয়েড একটি গ্রন্থি যা আমাদের স্বরযন্ত্রের দুই পাশে থাকে। থাইরয়েড গ্রন্থির কাজ হলো আমাদের শরীরের কিছু অত্যাবশ্যকীয় হরমোন উৎপাদন করা। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যেই হরমোন উৎপাদিত হয় তাকে থাইরয়েড হরমোন বলা হয়ে থাকে। শরীরের জন্য এই থাইরয়েড হরমোনের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা আছে। নির্দিষ্ট মাত্রার থেকে কম বা বেশি হরমোন উৎপাদিত হলে শরীরের উপর বিভিন্ন রকমের বিরূপ প্রভাব পরে। থাইরয়েড হরমোন কম উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপোথাইরয়েডিসম এবং বেশি উৎপন্ন হলে বলা হয় হাইপারথাইরয়েডিসম। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার থাইরয়েডের সমস্যা আছে? আসুন তাহলে এক নজরে দেখে নেয়া যাক থাইরয়েড হরমোনের সমস্যার লক্ষণগুলো।
অবসন্নতা
অনেক কারনেই আপনি দূর্বল বোধ করতে পারেন। কিন্তু নিয়মিত দূর্বল লাগার একটি অন্যতম কারণ হতে পারে হাইপোথাইরয়েডিসম। হাইপো থাইরয়েডিসম হলো শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন তৈরি হওয়া। সারা রাত পর্যাপ্ত ঘুমানোর পরেও যদি সকালে অবসন্ন লাগে অথবা সারা দিন ধরে ঝিমুনি আসে তাহলে থাইরয়েড হরমোন ঠিক মতো কাজ করতে কিনা পরীক্ষা করিয়ে নেয়া উচিত।বিষন্নতা
খুব বেশি বিষন্নতায় ভোগাও হাইপোথাইরয়েডিসম এর একটি লক্ষণ হতে পারে। থাইরয়েড হরমোন মস্তিষ্কে ভালো লাগার অনুভুতি সৃষ্টির পেছনে ভূমিকা রাখে। তাই শরীরে যখন প্রয়োজনের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় তখন শরীরের পাশাপাশি মনের উপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ে।অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
সারাক্ষণ অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করা হাইপারথাইরয়েডিসম এর লক্ষণ হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিসম হলো শরীরে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি থাইরয়েড হরমোন তৈরী হওয়া। সারাক্ষণ অস্থির হয়ে থাকা এবং একেবারেই বিশ্রামহীন থাকলে হাইপারথাইরয়েডিসমের সমস্যা আছে কিনা সেটা পরীক্ষা করানো দরকার।খাবারে রুচির পরিবর্তনঃ
খাবারের রুচি অতিরিক্ত বেড়ে গেলে সেটা হাইপারথাইরয়েডিসমের লক্ষণ হতে পারে। অন্যদিকে হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে খাবারের স্বাদ ও গন্ধ কম লাগে অনেক সময়। এক্ষেত্রে খাবারে রুচির অভাব দেখা দেয়।
মস্তিষ্কের উপর প্রভাব
মস্তিষ্কের উপর থাইরয়েড হরমোনের প্রভাব আছে। কোনো কিছুতে যদি মনোযোগ আনতে সমস্যা হয় বা মন এদিক ওদিক বেশি চলে যায় তাহলে হাইপারথাইরয়েডিসম থাকতে পারে। আবার একই ভাবে কারো যদি সম কিছু ভুলে যাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে তাহলে তার হাইপোথাইরয়েডিসম থাকার সম্ভাবনা থাকতে পারে।ত্বকের উপর প্রভাব
হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও চুলকানীভাব যুক্ত হতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে ঘাম কম হয় এবং ত্বক তার প্রয়োজনীয় আদ্রর্তা না পেয়ে শুষ্ক হয়ে যায়। হাইপোথাইরয়েডিসমের রোগীদের মধ্যে নখ ভাঙ্গার বা ফাটল ধরার প্রবণতাও বেশি।গলার স্ফীতি
থাইরয়েড হরমোনের অভাবে অর্থাৎ হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে গলা ফুলে উঠতে পারে। গলায় হাত দিয়ে কোনো অস্বাভাবিক ফোলা কিছু পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এছাড়াও থাইরয়েড হরমোনের অভাবে গলার আওয়াজ কিছুটা কর্কশ হয়ে যেতে পারে হঠাত করে।ওজন পরিবর্তন
হঠাৎ করেই কোনো কারণ ছাড়া ওজন বেড়ে যাওয়াটা হাইপোথাইরয়েডিসমের কারণে হতে পারে। কেউ যদি খাওয়া না বাড়ানো সত্ত্বেও হঠাৎ করে যদি ওজন সমস্যায় ভোগে তাহলে তার ডাক্তারের কাছে থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা করানো উচিত। একই ভাবে যাদের হঠাৎ করেই বেশ খানিকটা ওজন কমে যায় তাদের হাইপারথাইরয়েডিসম থাকার সম্ভাবনা আছে।চুলের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিসম হলে অতিরিক্ত চুল পড়া,চুলের আগা ফেটে যাওয়া ও চুলের বৃদ্ধি কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। থাইরয়েড হরমোনের স্বল্পতা অথবা আধিক্য দুটাই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে সময়মত সনাক্ত করতে পারলে নির্দিষ্ট মাত্রার অসুধ খেয়ে পুরোপুরি সুস্থ থাকা সম্ভব। তাই থাইরয়েড হরমোন সমস্যার কোনো লক্ষণ দেখা গেলে দেরী না করে দ্রুত ডাক্তারের সরনাপন্ন হওয়া উচিত।
প্রথম আলো
| নরওয়ে
৮ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৭ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ৯ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১১ মিনিট আগে
১ ঘণ্টা, ১২ মিনিট আগে
২ ঘণ্টা, ২৯ মিনিট আগে
৩ ঘণ্টা, ৫ মিনিট আগে
১৫ ঘণ্টা, ৫৪ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ৩০ মিনিট আগে
১৯ ঘণ্টা, ৩৪ মিনিট আগে
২২ ঘণ্টা, ৫৭ মিনিট আগে
২২ ঘণ্টা, ৫৮ মিনিট আগে
২৩ ঘণ্টা, ১ মিনিট আগে