
কাঁচা আমেই লুকিয়ে আছে বাড়তি ক্যালরির ফাঁদ!
গরমের দুপুরে শরবতের গ্লাসে ভর করে আসে প্রশান্তি, আর তার পেছনে থাকে একটিই নাম কাঁচা আম। টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফল অনেকের কাছেই গ্রীষ্মের শ্রেষ্ঠ তৃপ্তি। কেউ খান লবণ-মরিচ দিয়ে কুচি করে, কেউ বা কাসুন্দিতে মেখে, কেউ আবার শরবতে বা আচারেই খুঁজে পান স্বাদ। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই স্বাদে মজতে গিয়েই অজান্তে শরীরে ঢুকে পড়ছে অতিরিক্ত ক্যালরি? কাঁচা আম নিজে যতটা পুষ্টিকর, তাকে মুখরোচক করে তুলতে গিয়ে আমরা যে উপাদানগুলো যোগ করি সেগুলোর মাধ্যমেই ডেকে আনি স্বাস্থ্যঝুঁকি। স্বাদ বনাম সুস্থতার এই দ্বন্দ্বে কোথায় আছে সমাধান? চলুন, খুঁটিয়ে দেখা যাক কাঁচা আমের স্বাদ, পুষ্টি আর সম্ভাব্য বিপদের গল্প।
পুষ্টিগুণে ভরপুর কাঁচা আম
কাঁচা আম হচ্ছে একধরনের পুষ্টির খনি। এতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি, এ, ই, কে, বি৬, নায়াসিন, ফোলেট এবং কপার, যা আমাদের দেহের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে সহায়ক। পাশাপাশি এতে কিছুটা শর্করা ও আঁশও থাকে, যা হজমে সাহায্য করে। পরিমাণ বুঝে খেলে এই ফলে ওজন বাড়ার তেমন আশঙ্কা নেই।
যত সমস্যা মিশ্রণে
যখন কাঁচা আমকে মুখরোচক করে তুলতে আমরা এতে চিনি, গুড় বা মধু মিশিয়ে খাই তখনই বিপত্তি ঘটে। এসব উপাদানে ক্যালরির মাত্রা অনেক বেশি যা নিয়মিত গ্রহণ করলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে চিনির বদলে গুড় বা মধু ব্যবহার করে আত্মতুষ্ট হন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের মতে, এগুলোর ক্যালরিও খুব একটা কম নয়। তাই যদি স্বাদ বাড়াতে এসব ব্যবহার করতে হয়, তবে অবশ্যই যেন পরিমাণে খুব সামান্য রাখা হয়।
লবণের ফাঁদেও আছে বিপদ
অনেকেই ভাবেন বিট লবণ বা পিংক সল্ট কম ক্ষতিকর, কিন্তু মূলত এগুলোও সাধারণ লবণেরই একেকটি রূপ। অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করলে উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের সমস্যা কিংবা কিডনির উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই আম খাওয়ার সময় লবণ থাকলেও যেন তা থাকে সামান্যই।