কাপ কেকের কথা শুনলে লাফিয়ে উঠেন না এমন ব্যক্তি কমই পাওয়া যাবে। সহজলভ্য ও সুস্বাদু বলে কম বেশি সবাই কাপ কেক খেয়ে থাকেন। কেক পেস্ট্রির দোকানে গেলে প্রথমেই কাপ কেকের দিকে নজর চলে যায়। আবার বানানো বেশ সহজ বিধায় অনেককেই কাপ কেক বাসায় বানিয়ে মনের সুখে খেতে দেখা যায়। কিন্তু কেক পেস্ট্রির দোকানের কাপ কেকের যেন মজাই আলাদা। পরিবারের সবার জন্যই প্যাকেট করে কিনে নিয়ে যান অনেকে এই মজাদার কাপ কেক। কিন্তু কথা হলো, একটি কাপ কেকের পেছনে আপনি কত টাকা ব্যয় করতে পারবেন? সাধারণ যে কোনো দোকানের কাপ কেকের দাম ৩০-১০০ টাকার মধ্যে।

বেশ ভালো কোনো কেক-পেস্ট্রির দোকানে গেলে সর্বোচ্চ ৩০০-৫০০ টাকাই হবে। আচ্ছা ঠিক আছে আরও বেশি হলে হাজার খানেক টাকা। কিন্তু আমরা যে কাপ কেকটির কথা বলতে যাচ্ছি তা বিশ্বের সবচাইতে দামী কাপ কেক। এবার বলুন তো এই কাপ কেকটির মূল্য কত হতে পারে? ১০,০০০...... ২০,০০০? যদি এই ধারণা করে থাকেন তবে এবারও ভুল করেছেন। কারণ বিশ্বের সবচাইতে দামী কাপ কেকের মূল্য হচ্ছে ৭৬৮.৮৩ পাউন্ড বা ১,২২৭.৩ ডলার। অর্থাৎ, ৯৮,১৮৪ (আটানব্বই হাজার একশত চুরাশি) টাকা। এই কাপ কেকটি সর্ব প্রথম লোকচক্ষুর সামনে এনেছিলেন দুবাই মলের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ‘নিউ ব্লুমস বেরি’স ফ্রাঞ্চাইস’ । আসুন দেখা যাক এই কাপ কেকের বিশেষত্ব যার কারনে এটা জিতে নিয়েছে সবাইতে দামী কাপ কেকের খেতাবটি। এই কাপ কেক এবং কেকে ব্যবহৃত চকলেট বিশ্বের সব চাইতে ভালো, মসৃণ ও দামী কোকো পাউডার দিয়ে তৈরি। এই কাপ কেক বানানোর জন্য ময়দা আসে সুদূর ইতালি থেকে। এবং এর আগাগোড়া মোড়ানো হয় খাবার যোগ্য ২৪ ক্যারাট স্বর্ণ দিয়ে। সারভিং ডিসে রাখা স্ট্রবেরিও চকোলেটে ডুবিয়ে খাবার যোগ্য ২৪ ক্যারাট স্বর্ণের গুঁড়ো দিয়ে পরিবেশন করা হয়। শুধু তাই নয়। এই কাপ কেকটি পরিবেশন করা হয় ২৪ ক্যারাট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি পাত্রে এবং খাওয়ার জন্য দেয়া হয় ২৪ ক্যারাট স্বর্ণ দিয়ে তৈরি একটি চামচ। চামচ আর প্লেট অবশ্য আপনি বাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন না!