ছবি সংগৃহীত

অযত্নে নষ্ট হচ্ছে বোনারপাড়া-ফুলছড়ি রুটের রেললাইন

priyo.com
লেখক
প্রকাশিত: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৮:৫৭
আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৫, ০৮:৫৭

(তোফায়েল হোসেন জাকির, গাইবান্ধা) দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বোনারপাড়া-ফুলছড়ি ফেরিঘাট রুটের রেললাইনসহ অব্যবহৃত কোটি কোটি টাকার সম্পদ অযত্ন অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ রেলওয়ে রুটে ৭ কি.মি রেললাইন, ভরতখালী রেল স্টেশন ৩টি রেলব্রিজ ও তার ব্যাপক সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণের কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, পদুম শহর আঠারো বাড়ি ও ফুলছড়ি বাজার সংলগ্ন রেল ব্রিজের অধিকাংশ কাঠের স্লিপার চুরি হয়ে গেছে। এর সঙ্গে আরও চুরি হচ্ছে মূল্যবান নাট বল্টু। মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে এসব সরকারি সম্পদ। ওই রুটের পুরো অংশেরই লাইন ঘাস ও মাটি দিয়ে ঢেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রেলওয়ে সম্পদ পাহারায় নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্বে থাকলে তাদের কোন ভূমিকা নেই।

জানা গেছে, ২০০০ সালের আগে ফুলছড়ির তিস্তামুখ নদীতে নাব্যতা সংকট ও অসংখ্য চর জেগে ওঠায় ফেরিঘাটটি বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই রেলপথটি আর ব্যবহৃত হয় না। এই রেলপথের কর্মচারীরা অলস ঘুরে ফিরে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে মেরিন বিভাগটির কোন কার্যক্রম না থাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রতিমাসে কোন কাজ না করেই বেতন-ভাতা বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা উত্তোলন করছেন। ২০০৫ সাল থেকে রেলকর্তৃপক্ষ মেরিন বিভাগ যাত্রীবাহী ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভাসমান টাগ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তখন থেকেই এর সঙ্গে জড়িত মেরিন সুপার ও মেরিন ইন্সপেক্টর (এমআই)সহ প্রায় দেড়শ কর্মকর্তা কর্মচারী বসে থেকেই বেতনভাতা উত্তোলন করেছে। যা রেলওয়ের অযথা ব্যায়। রেলওয়ে রুটটি চালুর জন্য বেশ কিছুদিন থেকে বোনারপাড়া জংশন এলাকার সচেতন যাত্রীরা দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে স্থানীয় লোকজন একটি নাগরিক কমিটিও গঠন করেছেন।

এ ব্যাপারে বোনারপাড়ার নাগরিক কমিটির নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অযথাই রুটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এ রুটটি আবারও চালু করা হোক। এতে দীর্ঘ ৩টি উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে বলেও মত পোষণ করেন তিনি। বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার স ম আকবর হোসেন জানান, এসবই রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই।