রিপোর্টার হিসেবে আমি দুধের শিশু... সিনিয়ররা একটুও অনাদর করেননি
৯৬’র পার্লামেন্ট আমাকে রিপোর্টার হিসেবে তৈরি করেছে, লুই কান অনেক বড়ো এক স্কুল বানিয়েছেন বটে! একটা বিশাল সেশন ছিলো সংসদ সচিবালয়ের সাদায় নীল ছোপের গোল জানালার মিনিবাস। বেলাল ভাইর ভরাট গলার গান, আজম মীর ভাইর হাসিমাখা জমজমাট বাহাস, মাহমুদ হাসান ভাইর সিরিয়াস মুড তরল করে দেয়া মহিদুল রাজু ভাইর হৈ-হুল্লোড়...প্রতিটি মানুষ ছিলেন আমার সিলেবাস। আশীষদা, নজরুল ইসলাম মিঠু, উত্তমদা, মাহমুদ আল ফয়সল, আসাদুজ্জামান সম্রাট... সবার কাছ থেকে যতোটুকু পেরেছি শিখতে চেষ্টা করেছি। নাজিমউদ্দীন মোস্তান ভাইর কাছ থেকে এক সাবজেক্ট শিখেছি, শাহজাহান সরদার ভাই আরেকটা দিক। শামীম ভাইর কাছে ঘেঁষতাম ইংরেজি জানার লোভে, মাহফুজ ভাইয়ের সাথে সময় বেশ ভালো কাটার কারণে। ওনার সাথে কথা বলতাম অনেক। দু-একজন বাদে আর কারো সাথে বেশি কথা বলার সাহস হতো না। আর হবেই বা কেমনে? ৯৬ সালে আমার নিজের বয়স ২৫, চাকরির বয়স এক। ছোট মানুষ, ছোট পত্রিকা ও রিপোর্টার হিসেবে দুধের শিশু! কিন্তু শফিকুর রহমান ভাইর মতো সিনিয়ররা একটুও অনাদর করেননি। আদর দিয়েই শিখিয়েছেন, বকেছেনও বৈকি। হাজারো সালাম সবাইকে। কীভাবে নবীন ও জুনিয়রদের কাজ শেখাতে হয়, কাজ করাতে হয়, আমি অনেকটা শিখেছি সেই সাদা মিনিবাসে। ফেসবুক থেকে