কুইক লিঙ্ক : মুজিব বর্ষ | করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব | প্রিয় স্টোর

নবীগঞ্জে প্রাথমিক সমাপনীর মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্ন ও খাতা নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড

মানবজমিন প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

নবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক সমাপনী পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা সরবরাহে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলামের অভিনব নির্দেশনা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ৭ই সেপ্টেম্বর শনিবার থেকে অনুষ্ঠেয় মডেল টেস্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তোলপাড় চলছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় ১৮২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৬১টি কিন্ডারগার্টেনসহ মোট ২৩৪টি বিদ্যালয়ে গতকাল সকাল ১০টা থেকে প্রশ্নপত্র এবং পরীক্ষার খাতা বিতরণের নির্দেশনা জারি করেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম। একইদিনে এতগুলো প্রতিষ্ঠানে একযোগে প্রশ্নপত্র ও খাতা বিতরণের ঘটনাকে নজিরবিহীন হিসেবে আখ্যায়িত করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ। পরীক্ষা ফি-৩৫ টাকা ছাড়াও আপ্যায়ন ফি-বাবদ ৩০ টাকা নেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের মৌখিক নির্দেশনা দেয়া হয়। শিক্ষক সমিতি সূত্র জানায়, ১৩টি ইউনিয়নে বিভক্ত ক্লাস্টারভিত্তিক বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে মডেল টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হতো। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১০-১২টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ গ্রহণ করত। পরীক্ষার দুই দিন আগে প্রশ্ন ও খাতা সরবরাহ হতো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা সেখানে পরীক্ষার ফি-দাখিল করতেন। একটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিতো। প্রাথমিক সমাপনীর পূর্বে মেধা তালিকা যাচাইক্রমে প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা শুর হতো। হঠাৎ করে নিয়মের পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করেন শিক্ষা অফিসার কাজী সাইফুল ইসলাম। গতকাল প্রতিষ্ঠানভিত্তিক চাহিদার তালিকা ছাড়াই প্রশ্নপত্র ও খাতা বিতরণ শুরু করে উপজেলা শিক্ষা অফিস। এতে হয়রানি-বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বৃন্দ। ৬ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার বন্ধ থাকায় ৭ই সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ও খাতা সংগ্রহে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এনিয়ে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে প্রশাসনিক কার্যক্রমে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। রিলিফ সংগ্রহের মতো শিক্ষকদের দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা যায়। এ ছাড়াও নিজস্ব প্রতিষ্ঠানে মডেল টেস্ট পরীক্ষার আয়োজন নিয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সার্বিক বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি উপজেলা পলিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম বলেন, প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার বিকল্প নেই। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। ওদিকে, উপজেলায় প্রথমবারের মতো আগামী ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ই সেপ্টেম্বর ২৩৪টি সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক সমাপনীর মডেল টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও