পরিপাটি ও স্বস্তিদায়ক বাসা কেবল সৌন্দর্য নয়, মানসিক প্রশান্তিরও অংশ। কিন্তু প্রায়ই অজান্তে এই ঘরে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় এত বেশি জিনিস জমে যায় যে তা দৈনন্দিন জীবনযাত্রাকে জটিল করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, অন্দরের এই বাড়তি জিনিসপত্র আমাদের সময়, মনোযোগ ও শক্তির ওপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি করে। আপনার ঘরেও কি আছে এমন অতিরিক্ত জিনিস, যা কার্যকারিতা ছাড়াই পড়ে আছে ঘরের কোণে জায়গা দখল করে? জেনে নিন কখন বুঝবেন ঘরে জমে গেছে বাড়তি সব জিনিস।
১. প্রয়োজনীয় জিনিস থাকা সত্ত্বেও খুঁজে না পাওয়া
পুরোনো কোনো বই বা পাঁচ বছর আগের কেনা জুতাজোড়া খুঁজতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? অথবা কখনো কি মনে হয়েছে যে আপনি জানেন এই জিনিসটি বাসায় আছে, কিন্তু কোথায় আছে, তা মনে করতে পারছেন না? এমনটি সাধারণত হয় অতিরিক্ত জিনিসপত্রে ঘর অগোছালো হয়ে থাকলে। সময় বুঝে তাই বাড়তি জিনিস সরিয়ে ফেলুন। পুরোনো খবরের কাগজ, নষ্ট বা মেরামতের অযোগ্য জিনিস না জমিয়ে বিক্রি করে দিন। তা না করা গেলে এসবের জায়গা ময়লার ঝুড়িতে হওয়াই শ্রেয়।
২. পরিষ্কার করতে অস্বাভাবিক সময় লাগা
চটজলদি ঘর গোছাতে গিয়ে লক্ষ করলেন, ঘণ্টাখানেক পার হয়ে গেছে, আপনি অর্ধেকও গুছিয়ে উঠতে পারেননি। হতে পারে, অকাজের জিনিস ঘাঁটতে ঘাঁটতেই সময় চলে যাচ্ছে। যদি ঘর গোছাতে বা পরিষ্কার করতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সময় লাগে, তবে বুঝতে হবে, পরিষ্কারের কাজ হচ্ছে না; বরং জিনিসপত্র সরানোতেই সময় ব্যয় হচ্ছে। এমনটা হলে যেসব জিনিস অনেক দিন ব্যবহার করছেন না, সেসব ছাঁটাই করে ফেলুন। ঘর পরিপাটি দেখাবে।
৩. নির্দিষ্ট কিছু ঘর বা জায়গা সব সময়ই এড়িয়ে চলা
অতিরিক্ত জিনিসে কি ভরে গেছে অতিথির ঘর, স্টোর রুম কিংবা কোনো আলমারি? হয়তো এর মধ্যে কোনো জিনিস কাজের, কোনোটির আবার দরকারই নেই। যদি আপনি নিয়মিত এসব জায়গা এড়িয়ে যান, তবে দিন দিন অপ্রয়োজনীয় জিনিসের স্তূপ বাড়বে। তাই সেই জায়গা ব্যবহারের অযোগ্য হওয়ার আগেই বাড়তি জিনিস সরিয়ে ফেলুন।