শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস: শোকের ঊর্ধ্বে এক সংকল্প

জাগো নিউজ ২৪ ড. হারুন রশীদ প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৩২

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এটি কেবল জাতীয় জীবনে শোক পালনের দিন নয়, বরং এক গভীর আত্মজিজ্ঞাসা ও নবশপথ গ্রহণের মুহূর্ত। বিজয়ের সূর্যোদয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে যে মেধাবী সন্তানদের আমরা হারিয়েছি, তাদের স্মরণ করার অর্থ শুধু অশ্রুপাত নয়। এই দিবস পালনের সার্থকতা নিহিত রয়েছে সেই আদর্শগুলো বাস্তবায়নের দৃঢ় প্রতিজ্ঞায়, যার জন্য তারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। একই সাথে যে অন্ধকার শক্তি একটি জাতির মেধা ও আত্মা ধ্বংস করতে চেয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে সদা জাগ্রত থাকার সংকল্প গ্রহণের দিন আজ।


১৯৭১ সালের ডিসেম্বরের সেই নির্মম হত্যাকাণ্ডকে বুঝতে হলে এর পেছনের উদ্দেশ্য অনুধাবন করা অপরিহার্য। এটি কোনো আকস্মিক নৃশংসতা ছিল না; ছিল একটি জাতিকে জন্মের আগেই বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়ার সুগভীর চক্রান্ত। বিজয়ের ঊষালগ্নে যখন পরাজয় অত্যাসন্ন, তখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসর—রাজাকার, আলবদর ও আলশামস—এক নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেছে বেছে ধরে নিয়ে আসে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল লক্ষ্য ছিল সদ্য স্বাধীন হতে যাওয়া বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মেধাশূন্য করে দেওয়া।


লক্ষ্যবস্তু ছিলেন তারা, যারা একটি নতুন দেশের পথ দেখাতে পারতেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রথিতযশা সাহিত্যিক, নির্ভীক সাংবাদিক, মানবদরদী চিকিৎসক এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের বরেণ্য ব্যক্তি। তারা কেবল ব্যক্তি ছিলেন না, ছিলেন একেকটি প্রতিষ্ঠান—একটি স্বপ্নের বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক। এই পরিকল্পিত শূন্যতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা এটাই প্রমাণ করে যে, শহীদ বুদ্ধিজীবীরা যে জ্ঞানভিত্তিক, সমৃদ্ধ ও সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন, সেটিই ছিল হানাদার ও তাদের দোসরদের মূল আতঙ্কের কারণ।


বিজয়ের ঊষালগ্নে পরাজয় অত্যাসন্ন জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় দেশের বরেণ্য ব্যক্তিদের হত্যায় মেতে ওঠে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেছে বেছে ধরে নিয়ে আসা হয় সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিকিৎসকসহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের।


এরপর নির্মম পৈশাচিকতায় তাদের হত্যা করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল জাতিকে মেধাশূন্য করা। স্বাধীনতা পেয়েও বাঙালি জাতি যেন মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেই নীলনকশা বাস্তবায়ন করাই ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যার হীন উদ্দেশ্য। এই দিবসে জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে সেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের, যারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।


একাত্তরের ডিসেম্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে বুদ্ধিজীবীদের ধরে এনে হত্যা করা হয় জগন্নাথ হল, রায়েরবাজারের নদীতীর ও মিরপুরের কয়েকটি স্থানে। ডা. ফজলে রাব্বী, আবদুল আলীম চৌধুরী, আনোয়ার পাশা, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, সেলিনা পারভীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সন্তোষ ভট্টাচার্য, সিরাজুল হক, চিকিৎসক গোলাম মুর্তোজা, আজহারুল হক, হুমায়ুন কবীর, মনসুর আলীসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয় এ সময়।


মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে এবং যুদ্ধ চলাকালে হত্যা করা হয় জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, গোবিন্দ চন্দ্র দেবসহ আরও অনেক বুদ্ধিজীবীকে। মুনীর চৌধুরী, আলতাফ মাহমুদ ও শহীদুল্লা কায়সারও একইভাবে হত্যার শিকার হন। এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের সর্বপ্রথম শিকার হয়েছিলেন অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও