ভারতও জানে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে তাদের অপরাধের মাত্রা
পিলখানায় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডবিষয়ক জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশের পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। মূলধারার গণমাধ্যমসহ নেটদুনিয়ায়ও এ নিয়ে নানারকম বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর ইতিহাসের জঘন্যতম এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যচারীদের শনাক্তের জন্য নাগরিকদের পক্ষ থেকে জোর দাবি ওঠে। সরকারও জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে দেয়। কমিশন ১১ মাস ধরে তদন্ত করে একটি রিপোর্ট ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে। রিপোর্টে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ ও ভারতের জড়িত থাকার কথা উল্লেখ আছে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কোনোকালেই সেনাবাহিনীকে ভালো চোখে দেখেনি। আওয়ামী লীগের এ অবস্থানের সঙ্গে ভারতের অবস্থান হুবহু মিলে যায়। ভারতও কখনো চায়নি বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে একটি পেশাদার ও শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে উঠুক। অথচ, এ কথা অতিরঞ্জিত হবে না, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। পঁচাত্তরে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে যখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা চালু হয়েছিল, তখন বিয়োগান্তক ঘটনার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ খেসারত দিয়েছিল। তবে, ওই ঘটনার পর জনগণ একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছিল। হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ও একই মনোভাব পোষণ করেন।
- ট্যাগ:
- মতামত
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড
- পিলখানা