মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ প্রস্তাবনা
মানবাধিকার জন্মসূত্রে অর্জিত একটি অলঙ্ঘনীয় নৈতিক প্রত্যয়। এ অধিকার কালো-ধলো, ছোট-বড় সবার জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। এতে নেই জাতি, ধর্ম ও বর্ণের বিভেদ-বিদ্বেষ। আজকের এ একুশ শতকের পৃথিবীতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে, রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে ও মানবজাতির সমাজে মানবাধিকারের দাবি যথার্থভাবেই প্রতিষ্ঠিত। এটি মানুষ হিসাবে অধিকারের ন্যূনতম মাত্রা নিশ্চিত করে। বিষয়টি আজ আস্থা, বিশ্বাস ও সহমর্মিতায় আলোকিত। তবে মানবজাতির দীর্ঘ ইতিহাসের মতোই মানবাধিকারকে অতিক্রম করতে হয়েছে অনেক বাধা, বিপত্তি ও বিদ্বেষ। আগেকার দিনে মানবাধিকার শব্দটি ‘প্রকৃতিগত অধিকার’ বা মানুষের অধিকার বলে সন্তুষ্টির সঙ্গে গৃহীত হতো। মানবজাতি সভ্যতার ধাপে ধাপে মানবাধিকারের ব্যাপ্তি ও প্রাপ্তি সম্প্রসারিত করেছে। দার্শনিক জন লক প্রত্যয়টিকে জীবন, স্বাধীনতা ও ধন-সম্পত্তির অধিকার হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন। পরবর্তীকালে ‘সর্বাধিক মানুষের জন্য সর্বাধিক সুখ’ নিশ্চিত করাকে উপযোগবাদী দার্শনিকরা যথেষ্ট মনে করতেন। ইংল্যান্ডের ম্যাগনাকার্টাকে (১২১৫) মানবাধিকারের প্রথম দলিল হিসাবে স্বীকার করা হয়। বিবর্তনের বিভিন্ন ধারায় আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র (১৭৭৬), ফরাসি বিপ্লবে মানবাধিকারের সনদ (১৭৮৯) এবং বলশেভিক বিপ্লবের বাণী (১৯১৭) মানবাধিকারের প্রত্যয়কে ক্রমেই বিকশিত করে। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘে ‘মানবাধিকার সনদ’ গৃহীত হওয়ার পর এটি রাষ্ট্রিক স্বীকৃতি অর্জন করে। ১৯৪৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত (২০২৫) মানবাধিকারের ব্যাপ্তি ও বিস্তৃতি এতটাই ঘটেছে যে, আজকের বিশ্বে এটি অনিবার্য ও অনস্বীকার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে। মানবাধিকার এখন আর একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়। জাতিসংঘ সেটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে দেশ, জাতি, রাষ্ট্র পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের বিষয়গুলো যথাযথভাবে মানা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজর রাখা ও প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য জাতিসংঘের একটি স্থায়ী কমিশন রয়েছে। ১৯৭৫ সালে হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত মানবাধিকার সম্মেলনে অধিকার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক শাস্তিদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। জাতিসংঘের স্থায়ী মানবাধিকার কমিশন গোটা বিশ্বে মানবাধিকার পরিবেশ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে প্রতিবছরই প্রতিবেদন পেশ করে।
২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়কালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন প্রতিবছর প্রতিবেদন পেশ করে আসছে। সেই সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার মানবাধিকারের যে বেপরোয়া লঙ্ঘন করে, তা আন্তর্জাতিক সংগঠনের চোখ এড়ায়নি। বাংলাদেশ সরকারকে তারা নানা ধরনের জিজ্ঞাসা ও প্রতিবেদন পাঠিয়ে মানবাধিকার উন্নয়নের চেষ্টা করে। কিন্তু একেক সময় একেক বাহানা, অজুহাত ও তথাকথিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের দোহাই দিয়ে হাসিনা সরকার পার পেতে চায়। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এখানে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের অপব্যাখ্যা দেওয়া হয়। তারা মানবাধিকারের নতুন সংজ্ঞা আবিষ্কার করে। জনগণের যে অংশ মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে তাদের অপরাধী বলে সাব্যস্ত করে প্রতিবেদন পাঠায়। দেশে কর্মরত মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ওপর নেমে আসে অত্যাচারের খক্ষ। সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হয়। গায়েবি মামলা দেওয়া হয়। হাসিনা স্বৈরাচারের পতনের পর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন এক প্রামাণ্য প্রতিবেদন দাখিল করে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকার ও সেই সময়ের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধানী দল। স্বৈরাচারী সরকার নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং দল ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে যুক্ত করে মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে। বিচার-বহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার মারণাস্ত্র দিয়ে গুলি, গ্রেফতার, নির্যাতন, চিকিৎসা পেতে বাধা দেওয়ার মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে তারা। মূলত ক্ষমতায় টিকে থাকতে আন্দোলনকারীদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত বলপ্রয়োগে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে অপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট সংঘটিত ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান প্রতিবেদনে এ চিত্র ওঠে এসেছে। ১১৪ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদনে ওই সময়ের নৃশংসতা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য বিগত সরকার ও শাসক দল আওয়ামী লীগকে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে।
এ সময়ে বাংলাদেশে একটি তথাকথিত স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। ১/১১-এর পটভূমিতে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। দেশের এবং বিদেশের এ সমালোচনাকে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার স্বাধীন নাম দিয়ে মূলত একটি অধীন মানবাধিকার কমিশন স্থাপন করে। এটি প্রথমে ২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ, ২০০৭-এর অধীনে গঠিত হয় এবং পরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন, ২০০৯ দ্বারা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন অনুযায়ী কমিশন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা হলেও বাস্তবে এটি সরকারের প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাবে পরিচালিত হয়েছে। কমিশনের সদস্য ও চেয়ারম্যান নিয়োগ প্রক্রিয়া মূলত সরকারের ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী হয়েছে। সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশন প্রায় নির্বাক ভূমিকা পালন করেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীন মানবাধিকার সংস্থা হিসাবে জনগণের আস্থা হারিয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে বিচার-বহির্ভূত হত্যা, গুম, ও নির্যাতন উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। র্যাব ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে শতাধিক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এনএইচআরসি কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। অনেক ক্ষেত্রে কমিশন শুধু ‘তদন্তের অনুরোধ’ জানিয়ে দায় সেরেছে, কিন্তু বাস্তবে কোনো তদন্ত বা বিচার নিশ্চিত করতে পারেনি। এ নীরবতা জনমনে ধারণা সৃষ্টি করেছে যে কমিশন সরকারের অপরাধ ঢাকার কাজে ব্যবহার হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি নির্যাতন ছিল গত এক যুগের সাধারণ বাস্তবতা। কিন্তু কমিশন এসব বিষয়ে কোনো প্রকাশ্য প্রতিবাদ, অনুসন্ধান বা প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। এমনকি রাজনৈতিক বন্দিদের মানবাধিকার লঙ্ঘনেও কমিশন কার্যত নীরবতা দেখিয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং পরে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক, লেখক ও সাধারণ নাগরিকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও সেন্সরশিপের মুখে পড়তে হয়েছে। কিন্তু কমিশন এসব আইনের অপব্যবহার নিয়ে তেমন কোনো সুস্পষ্ট অবস্থান বা প্রতিবাদ জানায়নি। বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেছে, যা মানবাধিকার রক্ষার নীতির পরিপন্থি। জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা এনএইচআরসির অকার্যকরতা ও সরকারের অনুগত ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ সমালোচনাগুলো বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিকভাবে নেতিবাচক আলোকে উপস্থাপন করেছে। যে প্রতিষ্ঠান নাগরিকের অধিকারের শেষ আশ্রয়স্থল হওয়ার কথা, সেই প্রতিষ্ঠানই সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় নীরব দর্শকে পরিণত হয়েছে। ফলে জনগণের কাছে এনএইচআরসি একটি অকার্যকর ও আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে, যা সরকারের ইচ্ছার বাইরে কাজ করতে পারে না। ২০২৪ সালের গণবিপ্লবের পর স্বাভাবিকভাবেই মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নের জন্য সরকারের উদগ্রীব হওয়ার কথা। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন ঢাকায় তাদের নিজ কার্যালয় স্থাপন করে তাদের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু যে সরকারটি মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিকার করার কথা, প্রয়োজনীয় কার্যব্যবস্থা নেওয়ার কথা-গত এক বছরেও তাদের বড় ধরনের কোনো উদ্যোগ ও উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়নি।
অবশ্য, লেট বেটার দ্যান নেভার। অবশেষে তাদের ঘুম ভেঙেছে। মানবাধিকার রক্ষা ও সুশাসন জোরদারের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন-এনএইচআরসি অধ্যাদেশ-২০২৫-এর খসড়া প্রণয়নের জন্য ১০ অক্টোবর ঢাকায় একটি জাতীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের Legislative, সংসদবিষয়ক বিভাগ ও ইউএনডিপি যৌথভাবে, সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহায়তায় ‘Strengthening Institutions, Policies and services’ প্রকল্পের আওতায় এ পরামর্শ সভার আয়োজন করে। সভায় মানবাধিকার কর্মী, সুশীল সমাজ, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা একটি স্বাধীন, কার্যকর ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। সভায় বলা হয়, এটি মানবাধিকারের ক্ষেত্রে অনুসৃত প্যারিস নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। এ খসড়া নীতিমালার ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ আইনি কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, অধ্যাদেশটিতে আগের আইনের ‘গুরুত্বপূর্ণ ত্রুটি ও মারাত্মক ঘাটতি’ দূর করে মানবাধিকার কমিশনকে শক্তিশালী করা হয়েছে। অধ্যাদেশে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে সে বিষয়ে জানানো হয়েছে, মানবাধিকারের সংজ্ঞা সম্প্রসারিত করে বাংলাদেশের অনুসমর্থিত প্রচলিত আইনের মাধ্যমে বলবৎযোগ্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দলিলে ঘোষিত বা প্রথাগত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের মাধ্যমে স্বীকৃত মানবাধিকারগুলোয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমাদের সংবিধানে যে মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে সেটির বাইরেও বাংলাদেশ যেসব ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস ট্রিটি অনুসমর্থন করেছে বা পক্ষ রাষ্ট্র হয়েছে এমনকি আন্তর্জাতিক প্রথাগত আইনে যে মানবাধিকারের প্রতিষ্ঠিত ধারণাগুলো আছে সেগুলো বলবৎ করার ক্ষেত্রেও মানবাধিকার কমিশন ভূমিকা রাখতে পারবে। মানবাধিকার কমিশন গঠিত হবে, চেয়ারম্যান এবং চারজন সার্বক্ষণিক সদস্য দ্বারা। আর চেয়ারপার্সন এবং কমিশনের শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে সুপারিশ দেওয়ার জন্য আপিল বিভাগের নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি গঠনের বিধান করা হয়েছে। নতুন আইনে মানবাধিকার কমিশনের এখতিয়ার বাড়ানো হয়েছে। আগেকার মানবাধিকার কমিশনের একটা সীমাবদ্ধতা ছিল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ আরও কিছু ক্ষেত্রে তাদের তদন্তের এখতিয়ারের ঘাটতি ছিল। শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার বা রাষ্ট্রের পৃষ্ঠপোষকতায় সংগঠিত সব ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় কমিশনকে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষা আইনসহ মানবাধিকার সংরক্ষণমূলক যে কোনো আইনের মূল দায়িত্ব মানবাধিকার কমিশনকে দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। হেফাজতে মৃত্যু-সংক্রান্ত বিষয়েও মানবাধিকার কমিশন তদন্ত করবে-সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আর কমিশনের আদেশ প্রতিপালনকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।