You have reached your daily news limit

Please log in to continue


জুলাই বিপ্লব এবং পুনর্গঠিত ভূরাজনীতি

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইয়র্কে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাক্ষাৎ-এর ছবিটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার পায়। বিশ্বমিডিয়া তখন ঘটনাটিকে শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের দীর্ঘদিনের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে উল্লেখ করে। বলা হয়, ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নতুন গতি’।

উল্লেখ্য, জুলাই ২০২৪ সালের পর থেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কেবল দেশের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসেনি, বরং দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক রাজনীতিতেও এসেছে ব্যাপক পালাবদল, যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের নৈকট্য ও উষ্ণতা এবং ২০ বছর পর যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) পুনরুজ্জীবন।

এ মাসের শেষের দিকে জেইসির নবম অধিবেশন বসছে ঢাকায়। যাকে বলা হচ্ছে, কেবল একটি অর্থনৈতিক ফোরাম নয়, বরং এটি একটি রাজনৈতিক-কূটনৈতিক প্রতীকী ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, এ বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনৈতিক পুনর্বিন্যাস, আঞ্চলিক রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক বহুমুখীকরণের একটি শক্তিশালী কাঠামোগত উদ্যোগ। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের বর্তমান পুনর্জাগরণকে কেবল অতীতের রাজনৈতিক বরফ গলানো হিসাবে দেখা যথেষ্ট নয়; এটি দক্ষিণ এশিয়ার নীতি-রাজনীতির পুনর্গঠনের সূক্ষ্ম সূচনা।

জেইসি বৈঠক এ পুনর্গঠনের প্রতীকী ও বাস্তব দুই দিকেই প্রভাব ফেলছে, যা কয়েকটি স্তরে ব্যাখ্যা করা যায় : ১. একমুখী পররাষ্ট্রনীতির পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন বহুমুখী কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। আগে যা ছিল ভারতকেন্দ্রিক, তা এখন বহুস্তরীয় চেহারা পেয়েছে। বাংলাদেশ যে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী, তার প্রামাণ্য দলিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান নৈকট্য।

২. পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আবেগ নয়, বরং বাস্তবতাভিত্তিক কৌশলগত স্বার্থই যে গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশ সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের নিবিড়তা বৃদ্ধি ছাড়াও রোহিঙ্গা ইস্যুতে আবেগের বাইরে এসে বাস্তবভিত্তিক কৌশলগত পথে চলতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।

৩. বিশেষভাবে লক্ষণীয় বিষয় হলো, জেইসি আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশের নীতি এখন অর্থনৈতিক নিরাপত্তানির্ভর পররাষ্ট্রনীতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে বাণিজ্য, মুদ্রা, বিনিয়োগ এবং বাজার অ্যাকসেস ইত্যাদি বিষয় জাতীয় নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার অংশ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।

৪. পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উষ্ণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় স্বাতন্ত্র্যবাদী অবস্থান ও স্বাধীন কূটনীতি কৌশলের পরিচয় দিতে চেষ্টা করছে। বিশেষ করে, এ অঞ্চলের অপরাপর শক্তিগুলোর দিক থেকে দ্বন্দ্ব বা সংঘাত এড়িয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব স্বাতন্ত্র্যে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যমে নীতি ও কৌশলগত সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে।

স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ক্রমশ একটি স্বতন্ত্র ও ভারসাম্যপূর্ণ পথে এগোচ্ছে। পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সংলাপ, চীনের ভূ-অর্থনৈতিক ব্লকের (BRI Corridor) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সংযোগকে পুনরুজ্জীবিত করছে। এসব পররাষ্ট্রনীতিগত পদক্ষেপের ফলে বঙ্গোপসাগর হয়ে উঠছে আঞ্চলিক শক্তিগুলোর প্রতিযোগিতার কেন্দ্র। আর বাংলাদেশ এ অঞ্চলে একটি ‘মেরিটাইম ডিপ্লোমেসি হাব’ হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে বেশ এগিয়েছে, যা জুলাই ২০২৪-পরবর্তী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির গতিধারাকেও উপস্থাপন করছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন