সমব্যথী হন নিজের আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখুন

জাগো নিউজ ২৪ জান্নাতুল বাকেয়া কেকা প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫২

গত ১০ অক্টোবর ছিল বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস! বিশ্বজুড়ে দিনটি নানান কর্মসূচিতে পালিত হয়েছে! কিন্তু দিবসকেন্দ্রিক আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ না থেকে মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সারাবছর ধরেই কথা বলা উচিত। ১৯৯২ সালে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন ফর মেন্টাল হেলথ "শরীর" এর সাথে "মন"যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সেই সত্যটি কঠিন সিদ্ধান্তে বিশ্বময় প্রচারে প্রসারে উদ্যোগী হয়। আর সেই প্রচারণা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়ে বিশ্বব্যাপী মন ও মননের সুস্থতার সচেতনতায় নানান কর্মসূচির ফলাফল- বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। এবছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য চিল "পরিষেবা প্রাপ্তি-দুর্যোগ এবং জরুরি পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্য।"। সত্যি সময়ের সাথে উপযুক্ত প্রতিপাদ্য বটে। তবে বাঙালির চিরায়ত বিদ্বেষমূলক আচরণের কারণে এদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক আন্তঃব্যক্তিক সম্পর্কেও যে বিরূপ


প্রভাব পরে সেটা উপেক্ষা করলে চলবে কেন। হালের আমলে সেই হিংসা-ক্ষোভ ব্যক্তি বিদ্বেষের নগ্নতা এতটা বেড়েছে! এসব মানুষের মননে মন হয়ে শরীরে বিরূপ প্রভাব ফেলছে সেই হিসেবটি কাউন্ট হচ্ছে না। বরং নীরবে হিংসার চর্চার সিনিয়র তার জুনিয়র, হীনমন্যতায় আক্রান্ত জুনিয়র ভাবছে সিনিয়র তার যোগ্যতা কাজের দক্ষতায় তাদের পথের কাঁটা হবে এভাবে সময় ও যোগ্যতার মাপকাঠিতে পিছিয়ে থেকেও সকল সুযোগ ও আগে সময়ের আগেই পাবার জন্য সবাইকে পথের কাটা ভেবে হিংসা বিদ্বেষের অসুস্থ চর্চায় কাজে কর্মে, সামাজিক আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিরূপ আচরণ করে নিজের মনোদৈহিক অসুস্থতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এমন প্রিয় বন্ধু হয়েও হিংসার বিসাতিতে বন্ধুত্বের অবমাননা করছে। বন্ধুকে প্রতিপক্ষ ভেবে সুন্দর সাবলীল একটি সম্পর্ক ধরে রাখছে না। এমন ধারার শুধু নিজেকে পেতে হবে আমিত্ব জাহির করতে হবে এমন মানুষেরা সংখ্যা আজকাল চারপাশে। এই তারাই সময় সুযোগ আর সিন্ডিকেট নির্ভর হয়ে নিজের অবস্থার কেবলই মজবুত করার লক্ষ্যে শুধুই ছুটছে!


মনোবিজ্ঞান হিংসার করার পেছনের কারণ দারুণ করে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মনোবিজ্ঞান বলছে হিংসা হল অন্যের গুণাবলি, দক্ষতা, বা সাফল্যের প্রতি নেতিবাচক অনুভূতি। যা নিজের মধ্যে সেগুলোর অভাব অনুভব করলে বা অন্যের কাছে সেগুলোর অভাব দেখতে পেলে সৃষ্টি হয়। মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন, এটি একটি স্বাভাবিক আবেগ হলেও এর নেতিবাচক দিকগুলো ব্যক্তির মানসিক ও সামাজিক জীবনে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে, যা বিদ্বেষ, লোভ, ও অন্যের ক্ষতি কামনার জন্ম দেয়। মোটা দাগে হিংসাকে কয়েকটি ধাপে ব্যাখ্যা করাই যেতে পারে।


প্রথমত : আবেগপ্রবণতা- হিংসা একটি শক্তিশালী আবেগ, যা মানুষের মনে নেতিবাচক অনুভূতি সৃষ্টি করে, যেমন - অসন্তোষ, হতাশা, এবং অন্যের প্রতি বিরূপ মনোভাব।


দ্বিতীয়ত: সামাজিক তুলনা-মনোবিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, হিংসা প্রায়শই সামাজিক তুলনার ফলাফল। যখন আমরা নিজেদের অন্যের সঙ্গে তুলনা করি এবং নিজেদেরকে তাদের চেয়ে পিছিয়ে থাকা মনে করি, তখন এই অনুভূতি জন্মায়।


তৃতীয়ত : নেতিবাচক আচরণের জন্ম: হিংসা মানুষকে অন্যের ক্ষতি করার বা তাদের ধ্বংস কামনা করার দিকে ঠেলে দিতে পারে, যা সমাজে সংঘাত ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে।


চতুর্থত : আধ্যাত্মিক ক্ষতি: অনেক ধর্মীয় ও দার্শনিক দৃষ্টিকোণ থেকে হিংসা একটি আত্মিক ব্যাধি, যা মানুষের ভালো কাজ ও আধ্যাত্মিক উন্নতিকে বাধা দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও