আমার প্রতিবাদের ভাষা

বিডি নিউজ ২৪ রুমা মোদক প্রকাশিত: ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৩:০৭

প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে পার্থক্যটা ঠিক কী কী বিষয় দিয়ে সূচিত হয়? ভাষা, জীবনাচরণ, মূল্যবোধ, বিবেচনার দৃষ্টিভঙ্গি, কিংবা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাজাত যাত্রা। কোনটি? বয়সের আবশ্যিক প্রাকৃতিক পার্থক্য অবশ্যম্ভাবী। কিন্তু এই বয়সের পার্থক্য প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে যে দৃশ্যমান কিংবা অদৃশ্য বিভেদকগুলো তুলে দেয় তাতে বদলে যায় দেশ, কাল, সমাজের চেহারা আর গন্তব্য।


আমাদের যে প্রজন্মটির নাম জেনারেশান এক্স কিংবা জেনারেশন মিলেনিয়াম তাদের লালিত মূল্যবোধ ভালো কী মন্দ, এই সময়ের নিরিখে কতখানি উপযোগী কিংবা অনুপযোগী এই প্রশ্নটি উহ্য রেখেই যদি বলি জীবনাচরণ, মূল্যবোধ একটা সময়ের সঙ্গে আরেকটা সময়ের যে মৌলিক পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ওই পার্থক্য মেনে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন আর সহ্য করা কঠোর হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই পার্থক্য বিগত প্রজন্মগুলোতে এতটা প্রকট ছিল না। কেন এই অসম আর অসহনীয় পার্থক্য? এর শুরু কবে, কীভাবে এবং কেনইবা এর শুরু এবং মহামারীময় বিস্তার?


আমাদের প্রজন্মের কৈশোর আর যৌবন কেটেছে বলতে গেলে দ্বি-মেরুকেন্দ্রিক পৃথিবীতে। পূর্ব ইউরোপ তথা সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘সুষম সমাজের’ একটা মডেল নানা পক্ষ-বিপক্ষ আলোচনা নিয়ে আমাদের সামনে বর্তমান ছিল। স্বসমাজে শিক্ষক কিংবা রাজনৈতিক নেতা কিংবা ধার্মিক ব্যক্তিদের অনুকরণযোগ্য আদর্শিক অবস্থান ছিল। সুষম সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিতপ্রাণ বিপ্লবী কর্মী ছিল, আদর্শের জন্য ত্যাগের উদাহরণ ছিল। শালীনতা আর বিবেক শাসিত সামাজিক কাঠামো ছিল।


যদিও আদর্শ বিষয়টি আপেক্ষিক, তবু এর একটা মানদণ্ড ছিল সময়ের নিরিখে যা কিনা মানুষকে সমাজে মাথা উঁচু করে চলার শক্তি দিত। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে একটা গন্তব্যের দিকনির্দেশনা দিতে পারত। যা কোনোভাবেই নগদ বস্তুগত লাভকেন্দ্রিক কিংবা যেনতেনভাবে তা উপার্জন করার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিল না। নীতি এবং দুর্নীতির সুস্পষ্ট বিভেদ মানুষকে সৎ আর সরল জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ করত।


বৈশ্বিকভাবে রাজনৈতিক ভারসাম্যহীনতা বিশ্বব্যাপী অস্থিরতার প্রাথমিক কারণ কিনা এই বিতর্ক আপাতত পুরানো। তবে স্বদেশে প্রজন্মান্তরে ভাবনা-চিন্তার জগতের সঙ্গে আমাদের বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এ কথা অস্বীকারের উপায় নেই। আর এই দূরত্বের অন্যতম ও অসহনীয় প্রকাশ ঘটেছে ভাষার ব্যবহারে। এই দূরত্ব এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, প্রজন্মের শব্দ ব্যবহারের অন্তর্নিহিত ভাব আমাদের কাছে প্রায় দুর্বোধ্য হয়ে উঠেছে। দুর্বোধ্য বলছি এ কারণে যে, প্রজন্ম হয়তো খুব স্বাভাবিকভাবে যে শব্দ উচ্চারণ করছে আমাদের কাছে তা হয়ে উঠেছে অশ্লীলতার নামান্তর। কিন্তু তারা এই ভাষা ব্যবহারে নির্বিকার। তারা এসব বলছে নৈমিত্তিক আটপৌরে ভাব বিনিময়েও।


শ্লীল কিংবা অশ্লীল বিষয়টিও আপেক্ষিক। দেশ, কাল, সমাজ ভেদে ভিন্ন। নারী এবং যৌনতা বিষয়ক যেসব শব্দ আমাদের মূল্যবোধে অশ্লীল উচ্চারণ হিসাবে প্রকাশ্যে বলা অভদ্রোচিত মনে হতো কিংবা উচ্চারিত হতোই না, ওইসব শব্দ ব্যক্তিগত পর্যায়ে ব্যবহারে সীমাবদ্ধ থাকলেও আমাদের প্রজন্মের হয়তো আপত্তির কিছু থাকত না। কিন্তু না, ওইসব শব্দ এখন হয়ে উঠেছে প্রকাশ্য স্লোগানের ভাষা। আমরা যারা আমাদের মূল্যবোধে এই ভাষা ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হচ্ছি তখন তা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের উপহাসের প্রসঙ্গ।


সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

প্রতিদিন ৩৫০০+ সংবাদ পড়ুন প্রিয়-তে

আরও